বিএনপির জনসমর্থন হারানোর প্রমাণ সমাবেশের উপস্থিতি : কাদের
জনসভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি জনসমর্থন হারানোর প্রমাণ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, এলোমেলো দল বিএনপি হাক ডাক দিয়ে মহাসমাবেশ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তর্জন-গর্জনই সার। কক্সবাজার যাওয়ার সময় রাস্তায় রাস্তায় যে আটটি সমাবেশ আমরা করেছি তাতে যে উপস্থিতি ছিল তাদের কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশের উপস্থিতি সেগুলোর ধারে কাছেও নেই।
তিনি বলেন, ‘তাদের সমাবেশে উপস্থিতি হতাশাজনক। এ উপস্থিতি দেখে মনে হয় জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। এ দলটি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে ক্রমেই জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে দলটি ‘
সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারামারির কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘এই যে জাতীয় ঐক্য, হাতাহাতি মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, জাতীয় ঐক্যের সূচনা। এখানেই স্পষ্ট কেমন তাদের ঐক্য।’
মির্জা ফখরুল ইসলামের দাবির বিষয়ে ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘পরিষ্কার বলে দিতে চাই, দেশে পবিত্র সংবিধানের কোনো পরিবর্তন, সংযোজনের সুযোগ নেই।’
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণার বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তাদের সক্ষমতার সীমারেখা আজকেই তো দেখলাম। নিজেরা নিজেরা মারামারি, যতবার মফস্বলে গেছে ততবারই মারামারি। সমাবেশ কল করলেই নিজেরা নিজেরা মারামারি।’
আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব। আর যদি আন্দোলনের নামে ২০১৪ সালের মতো নাশকতা, বোমা হামলা এবং সেই ভয়াবহ দৃশ্যপটের অবতারণা করে তবে প্রশাসন যা যা করা দরকার সব করবে। আমরাও ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাব না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবো, প্রতিহত করবো।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বড়ুয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এইউএ/এএইচ/জেআইএম