জাতিসংঘে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন চিত্র তুলে ধরলেন জয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিষয়ক এস্তোনিয়া-ইউএনডিপি প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন চিত্র তুলে ধরেছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে জাতিসংঘের সদর দফতরের ৮ নম্বর কক্ষে ‘লাঞ্চ অব এস্তোনিয়া-ইউএনডিপি কোঅপারেশন : ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এজ সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্যাথওয়ে’ শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কেরস্তি কালিজুলাইদ এবং ইউএনডিপি প্রশাসক অচিম স্টেইনার প্রকল্পের সূচনা বক্তব্য রাখেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির পটভূমি তুলে ধরেন। ২০০১ সালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময়ে মাত্র ৫ থেকে ৬টি সরকারি অফিসে ডিজিটাল টেকনোলজি চালু করা হয়েছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশে ডিজিটাল বিপ্লব শুরু হয়।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের শুরুতে সরকার চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে। এগুলো হচ্ছে- সরকারি অফিস ডিজিটালাইজেশন, বিল্ডিং ফ্যাসিলিটিস, মানব সম্পদ সৃষ্টি এবং আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠা।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল সেবাকে গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের নীতি সংক্রান্ত নির্বাহী পরিচালক মিন থু পামের সঞ্চালনায় এ আলোচনায় ফিনল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা কালকু এবং নামিবিয়ার রাষ্ট্রদূত লিনিকেলাও অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি বলেন, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইউএনডিপি প্রশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।
অচিম স্টেইনার ইউএনডিপির অর্থায়নে পরিচালিত এক্সেস টু ইনফরমেশন (এ২আই) প্রকল্পের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশে মানব সম্পদের উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আরএস/এমএস