ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ঈদের পর সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন

প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৪

বর্তমান সরকারকে জালেম আখ্যা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “ঈদের পর অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। জনগণের আমাদের সঙ্গে আছে। বিজয় সুনিশ্চিত।”

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ২০দলীয় জোটের শরিক জাগপা আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খালেদা জিয়া ঈদের পরের আন্দোলনে সবাইকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, “দেশ আজ মহাবিপদে ও সংকটে। দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা ব্যস্ত লুটপাট, দুর্নীতি ও গুম, খুনে ব্যস্ত। জনগণের উন্নয়নে তাদের কোনো নজর নেই।এরফলে দেশে প্রতিদিন বেকারত্ব বাড়ছে, মানুষ কর্মহীন হচ্ছে।”

“ঢাকাসহ সারাদেশের মহাসড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কিন্তু জবরদখলকারী সরকারের সেদিকে কোনো নজর নেই।” যোগ করেন খালেদা।

বিএনপি প্রধান অভিযোগ করে বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারে না, সেখানে থাকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, বহিরাগতরা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্ত্রাগারে পরিণত করা হয়েছে।” পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ারও কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, “বড় বড় কথা ও মিথ্যাচার বন্ধ করুন এবং মানুষের দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।”

সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে গুম, খুন ও নির্যাতন করছে এমন দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইলেও কোনো স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।”

আওয়ামী লীগকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, “২০ দলীয় জোট এখন জনগণের জোট। কারণ পাঁচ ভাগ মানুষ নির্বাচনে ভোট দিলেও বাকি ৯৫ ভাগ মানুষ আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচনে ভোট দেয়নি।”



জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ছাড়া ইফতার মাহফিলে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রমুখ।
 
বিএনপির নেতাদের মধ্যে ছিলেন-দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।