বিএসএমএমইউ-তে চিকিৎসার ব্যাপারে আরও সময় চান খালেদা
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেল কোড অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন কিনা তা জানাতে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আইজি প্রিজন বলেন, আমি নিজে কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছি। এ সময় জেল কোড অনুযায়ী তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন কিনা তা জানাতে চাই। তবে তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন। সিদ্ধান্ত পেলে আমরা জেল কোড অনুযায়ী তার পরবর্তী চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে বিদেশে আছেন। তিনি দেশে ফিরলে কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেবেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে তার (খালেদা জিয়া) সিদ্ধান্ত জানাতে চাইবেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তির সুপারিশ করেছে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
এদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউর পরিচালক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি সুপারিশসহ মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ হলো- বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তবে এ অসুস্থতা কারাগারে থাকার কারণে নয়। কারাবন্দী হওয়ার আগে থেকেই খালেদা জিয়ার বেশ কিছু সমস্যা ছিল। তবে তার এ অসুস্থতা গুরুতর নয়।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল জলিল চৌধুরী (ইন্টারনাল মেডিসিন), অধ্যাপক হারিসুল হক (কার্ডিওলজি), অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী (অর্থোপেডিক সার্জারি), সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী (চক্ষু) ও সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এআর/এমবিআর/জেআইএম