বিএনপি নেতাদের বি. চৌধুরীর ভর্ৎসনা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতাদের ভর্ৎসনা করলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বর্তমানে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী)।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি. চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়া আমার ১৫ বছরের ছোট। আমি নিজেই দেখেছি, সে তো অসুস্থ, ব্রেনে রক্ত যাচ্ছে না। তার টিআই হয়েছে, এই প্রবলেমটা কখনো কখনো হয়ে যায়। আমি তাকে ট্রিটমেন্ট দিয়েছিলাম। তার লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে তাই হয়েছে, মেডিকেল বোর্ড করে তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। এই বোর্ডের সিদ্ধান্ত কে দেবে, সরকার? মেডিকেল বোর্ডের বিষয়ে পরিষ্কার বলা আছে।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দিকে তাকিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, ‘দলে মস্ত বড় আইনজীবী কয়েকজনই আছেন, আপনারা কি তা জানেন না। আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমার নিজস্ব একটা অধিকার আছে। আমি যাকে মনোনীত করি নাই, সে রকম কোনো চিকিৎসক আমার চিকিৎসা দিতে পারে না, ১ নম্বর। ২ নম্বর, তার পালসে হাত দিতে পারে না, ব্লাড প্রেসারও মাপতে পারে না, একজন রোগী হিসেবে এটা আমার রাইটস। ৩ নম্বর, আমার যত রিপোর্ট আছে তা গোপনীয়, আমার রিপোর্ট। এটা কেউ হাত দিতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি চিকিৎসককে অনুমতি দেব। আপনারা বসে রইলেন, আর আমরা দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে দেখলাম।’
তিনি বলেন, ‘যারা মেডিকেলে পড়েছেন তারা জানেন। ডা. জাফর উল্লাহর দিকে আঙুল দেখিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, ‘ডা. জাফর উল্লাহ জানেন, তার বলা উচিত ছিল, ডা. জাফর উল্লাহ সাহেব আপনি তো জানতেন, জাফর উল্লাহ সাহেব আপনি জানেন না?’ অনুমতি ছাড়া আমার শরীর টাচ করতে পারেন না, আমার চিকিৎসা দিতে পারেন না, আমার গোপনীয় রিপোর্ট দেখতে পারেন না যতক্ষণ না আমি মনোনীত না করবো। এরপরও তাকে কেমন করে বোর্ড করে চিকিৎসা দিলো, আপনারা প্রশ্ন তুললেন না?’
বি. চৌধুরীর বক্তব্যে উপস্থিত নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান মঞ্চে ছিলেন।
কেএইচ/এমআরএম