খালেদার চিকিৎসায় অনভিজ্ঞ থেরাপিস্ট নিয়োগ : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় একজন অনভিজ্ঞ থেরাপিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীকে আগে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র থেরাপিস্ট। পরে তাকে পরিবর্তন করে আওয়ামী মনোভাবাপন্ন একজন অনভিজ্ঞ থেরাপিস্টকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা রহস্যজনক।’
তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডে রাখা হয়নি। এ জন্যই দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উৎকণ্ঠিত। বিএনপি চেয়ারপারসন গুরুতর অসুস্থ হলেও তার পছন্দমতো হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে প্রমাণিত হয়-সরকার খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে কোনো গভীর চক্রান্ত চালাচ্ছে।’
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক কারাবন্দীর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতাল ও চিকিৎসকের কাছে সেবা নেয়ার অধিকার রয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান। অথচ তার মানবাধিকার হরণ করে তীব্র কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে জীবন বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সরকার। আমি আবারও তার পছন্দ অনুযায়ী বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে, বিশেষ করে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘বহুল আলোচিত ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সরকার জনগণকে ত্যাজ্য করে জালিয়াতির মেশিন ইভিএম-এর ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের আর উপায় নেই। কারণ সরকারের নির্বাচন দরকার কিন্তু ভোট দরকার নেই। সরকারের গণতন্ত্রের মুখোশ দরকার কিন্তু বিরোধী দলের দরকার নেই, সরকারের গণমাধ্যম দরকার কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দরকার নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এএইচ/এমএস