‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রত্যেককে পাহারা দিতে হবে’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রত্যেক নাগরিককে পাহারা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছন বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিটি জনগণকে পাহারা দিতে হবে যেন সন্ত্রাস, কালো টাকা, সাম্প্রদায়িকতা থেকে প্রত্যেক এলাকা মুক্ত থাকে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেক মানুষ যেন নির্ভয়ে নির্বাচনে যাচাই-বাচাই করে তাদের ভোট দিতে পারে।’
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নিজেদের দাবি উপস্থাপন বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জাসদ সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
ড. কামাল বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের মালিকানা হিসেবে জনগণকে দেখতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদের লেখা আছে দেশের মালিক জনগণ। এ মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশকে নিয়্ন্ত্রণে আনা যাবে। হত্যা, খুন, রাহাজানি থেকে আমরা রাষ্ট্র ও সমাজকে মুক্ত রাখতে চাই। সেই মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে যারা জনগণের প্রতিনিধি তারাই দেশ শাসন করবে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। এটা প্রতিটি মানুষের মনের কথা। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জনগণ তাদের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কার্যকর গণতন্ত্র প্রয়োজন।’
তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কালো টাকার প্রভাব বা পেশি শক্তির প্রভাবে প্রভাবিত না হয়ে যাদের যোগ্য মনে হবে নির্ভয়ে তাদেরকে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সকলকে আন্দোলনে নামতে হয়। কারণ নির্বাচন ভেজাল হলে জনগণ তাদের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবে।’
ড. কামাল বলেন, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে কীভাবে জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করা যাবে এবং দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে কীভাবে কার্যকর গণতন্ত্র আনা যাবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে তাদের অবদান রাখতে পারবে। যারা দেশের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করে সামাধান দিবে।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংবিধান সিদ্ধ। দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপস্থিতি রয়েছে। তবে সংবাদপত্রের মালিকরা অনেক বিষয় প্রকাশ করতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘আর তিন বছর পর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। ৫০ বছরকে সামনে রেখে আমরা অবশ্যই দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’
দেশের মানুষের স্বার্থে যে অনৈক্য রয়েছে সেখান থেকে মুক্ত করে একটা সুন্দর অর্থনীতি গড়ার। যেখানে সকলেরই অন্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের জন্য উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। যে ধরনের মেধাবী দেশে রয়েছে তাদের উন্নত শিক্ষা দিতে পারলে দেশকে আকাশে নিয়ে যেতে পারবে।
শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বাধা কাটানোর জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করেছে। তারা কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছে। সরকার পতনের নয়। যোগ্যতার ভিত্তিতে তারা চাকরি পেতে চায়। এ জন্য তারা সহিংস না হয়ে দায়ীত্বশীলভাবে আন্দোলন করেছে। বার্তমান যে কোটা পদ্ধতি আছে সেটাতে দুর্বলতা রয়েছে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকরাও স্বীকার করেছে।
শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের জন্য যে ভূমিকা রাখলো সেটাকেও সবাই গ্রহণ করেছে।
এমইউএইচ/এএইচ/আরআইপি