সরকারের দিন শেষ : ফখরুল
এই সরকারের দিন শেষ- মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই ইস্পাত-কঠিন ঐক্য ধরে রাখলে তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। একটা জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে ভয়াবহ দানব সরকারকে সরাতে হবে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই দলটিরর পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শেষ হয় দুপুর ১২টায়।
এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে। কর্মসূচি চলাকালে এক পর্যয়ে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তফসিলের আগেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এবং নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
তিনি বলেন, এসব কিছুর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমরা কারো দয়া ভিক্ষা করছি না। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তাকে মুক্তি দিতে হবে। সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের যা অর্জন, সব তারা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। পার্লামেন্টকে প্রহসনে পরিণত করেছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সরকার ভৌতিক মামলা দিয়েছে। ১২ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার। গ্রামে-গঞ্জেও বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে পাতা পেতে ঘুমাতে পারছে না। এভাবে মিথ্যা মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন, গুম-খুন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।
ফখরুল বলেন, শুধু ক্ষুব্ধ হলে হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সরকারকে হটাতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, আবদুল আওয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল আলম চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সফু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মো. আব্দুল আউয়াল খান, মো. শরিফুল আলম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইউব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমবিআর/জেআইএম