পালাবার পথ খুঁজছে সরকার : ফখরুল
সরকার পালানোর পথ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরাজিত হচ্ছে, সরকার পরাজিত হচ্ছে, আর সেই জন্য পালাবার পথ খুঁজছে। কীভাবে পালাবে সেই পথ খুঁজছে।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়ে পালাবার পথ খুঁজছে, যার জন্য আজ মরিয়া হয়ে শেষ চেষ্টা করছে কীভাবে বিএনপিকে দমন করা যায়, জনগণের ঐক্য বন্ধ করা যায়, জাতীয় ঐক্যকে বন্ধ করা যায়।’
বিএনপি মহাসচিবের ভাষ্য, দানবীয় একটি সরকার জনগণের উপর চেপে বসেছে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশের জনগণের ওপর নির্যাতন করছে। নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টা করছে। তাই আজ যে সংকট তৈরি হয়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে বলেছেন, আমি হয়তো কারাগারে চলে যাব তাই আপনারা সব রাজনৈতিক দল, সংগঠনকে নিয়ে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলবেন। আমরা তার নির্দেশে, সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে চেষ্টা করছি একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে। সে নিয়ে কাজ করছি, সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে, আমরা আশা করছি খুব দ্রুত সেটি সফল হবে।’
ফখরুল মনে করেন, সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাই কিছু ছাড় দিয়ে হলেও একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বিরোধীদল ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ দেশের জনগণ কখনও কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়ায়নি। প্রবল শক্তিশালী পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছে। পরবর্তীতে স্বৈরাচারের সাথে যুদ্ধ করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছে। এবারও গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাঝে একটা ভুল ধারণা কাজ করছে- সেটি হলো অনেকে বলে থাকেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া আলোচনার কথা। এটা আপনাদের ভুল ধারণা। খালেদা জিয়ার মুক্তি বাদ দিয়ে কোনো আলোচনা নয়। সবাই তার মুক্তির জন্য আন্দোলন করছেন। বি. চৌধুরী নিজেই বিৃবতি দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন।’
কারাগারে আদালত স্থানান্তরের সমালোচনা করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বেআইনি পন্থায় কারাগারে আদালত স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে তারা মানবতাবিরোধী কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিয়াউর রহমান কারাগারে আদালত স্থাপন করেছেন। এটা ঠিক না, ওই সময় যে বিচার কাজ হয়েছে সেটি ছিল একটি মার্শাল ল’র অধীন। আজ যা হচ্ছে সেটি মানবতাবিরোধী।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এসআর/এমএস