নেতাদের জেলা সফরের নির্দেশ, শৃঙ্খলাভঙ্গ বরদাস্ত করা হবে না
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনোভাবেই দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ বরদাস্ত করা হবে না বলে দলীয় নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এ কথা জানান। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সভায় উপস্থিত নেতারা জানান, দলের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা দেখার জন্য জেলা-উপজেলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সফরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে এসব সফরের আগে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যেন নোটিশ করা না হয়। বিনা নোটিশে জেলা-উপজেলা সফর করে এসে সেই চিত্র দলীয় সভাপতিকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ইতোপূর্বে যেসব নেতা বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়েছেন তাদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করতে দলের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতারা উন্নয়নের প্রচার না করে একে-অপরের বিষোদগার করছেন তাদের খোঁজ-খবর নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা আরও জানিয়েছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একে-অপরের বিরুদ্ধে অবস্থানগ্রহণ করে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন- এটা শৃঙ্খলাভঙ্গ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের শোকজ করতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে কোনো স্তরের কমিটি ভাঙা যাবে না। শোকজ করার পরও ঠিক না হলে সরাসরি বহিষ্কার করা হবে প্রয়োজনে। কোনোভাবেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানের পরাজয়ের বিষয়টি উঠে এলে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্বাচনের আগে সেখানে গিয়ে যখন বলেছিলেন, বিএনপির প্রার্থী আরিফও ভালো, কামরানও ভালো। তবে আমি ভোট দেব নৌকায়, সেদিনই সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
এইউএ/বিএ