ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

মুজিব আদর্শে দেশের ছাত্র-যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হবে

প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৫

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন বিষয়ক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথেই যেতে হবে এবং তার আদর্শে ছাত্র ও যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হবে। কেননা তাদের সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।’

সৈয়দ আশরাফ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহদাত বার্ষিকী এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য নসরুল হামিদ বিপু এমপি, খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি ও ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা-দৌলা।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন, আলহাজ্ব আব্দুল মালেক এমপি ও সাবিনা ইয়াসমিন তুহিন এমপি।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেশের ছাত্র ও যুব সমাজকে জানাতে পারলে তারা অবশ্যই জেগে উঠবে। তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ছাত্র ও যুব সমাজ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পেছনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছিল। ছাত্র ও যুব সমাজের কথা সে সময় মানুষ বিশ্বাস করত এবং তাদের কথার প্রচুর দাম ছিল।

তখন ছাত্রলীগের কোন কালিমা ছিলনা উল্লেখ করে আশরাফ বলেন, ‘সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক হাতে ছিল আওয়ামী লীগ এবং আরেক হাতে ছিল ছাত্রলীগ। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রলীগের ওপর দেশের মানুষের সেই আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ হয়।’

আহমদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না এলে এবং সরকার গঠন না করলে ১৫ আগস্টের খুনিদের যেমন বিচার হতো না তেমনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতা বিরোধী অপরাধেরও বিচার হতো না।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনিদের যেমন বিচার হয়েছে তেমনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের খুনিদেরও বিচার হবে।

আহমদ বলেন, বিএনপিতে যে নেতৃত্ব সংকট তৈরি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়া তার পুত্রের সাথে সলাপরামর্শ করার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন।

তিনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন পালন না করার বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়ার জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত বর্তমান সন্ত্রাসের সূচনা করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়াও একই নীতি অনুসরণ করেন।

এসএইচএস/আরআইপি