নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সতর্ক থাকতে বললেন কাদের
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপির পাতা ফাঁদে পা দেয়া যাবে না, আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
রোববার রাজধানীর পলাশীর মোড়ে জন্মাষ্টমীর ঐতিহাসিক শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক পোলারাইজেশন হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের নামে। ভোটের রাজনীতির কারণে জাতীয় ঐক্যের নামে তারা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করছে দেশে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের মনে আছে ২০০১ ও ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কী ভয়াবহ অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিল। তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাই এই অপশক্তিকে রুখে দিতে শেখ হাসিনার সরকারকে আগামী নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। কেননা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারই একমাত্র সংখ্যালঘু-বান্ধব সরকার।
সঠিক সময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় করছে তারাই বলছে নির্বাচন হবে না। আগামী ৯ তারিখ সংসদের শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশন শেষ হলে এমপিদের আর সংসদীয় ক্ষমতা থাকবে না। ফলে নির্বাচনের মাঠে কোনো ধরনের প্রভাব খাটানোর সুযোগ থাকবে না; ইসির আইন অনুযায়ী চলতে হবে সবাইকে। তাই যারা সংসদ নিয়ে কথা বলছেন তাদের কথা ভিত্তিহীন।
দেশে দুই ধরনের শত্রু আছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, দেশে প্রকাশ্য ও গোপন শত্রুরা এখন তৎপর। তবে প্রকাশ্য শত্রু থেকে গোপন শত্রুরা ভয়ানক বেশি। তারা আগামী নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা চাচ্ছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করে দেশে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করতে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে আমাদের রুখে দিতে হবে।
জন্মাষ্টমীর ঐতিহাসিক শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপিস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর শুরু হয়েছে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা। শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির হতে পলাশী বাজার মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট বটতলা, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ফিনিক্স রোড, গোলাপশাহ্ মাজার, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, গুলিস্তান, নবাবপুর রোড, রায় সাহেব বাজার মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ্ পার্ক গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জেইউ/বিএ/পিআর