আপাতত স্বস্তি ফিরলেও ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি : কাদের
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ হওয়ায় আপতত স্বস্তি ফিরেছে, তবে ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোটার আন্দোলনের উপর তারা (বিএনপি) ভর করেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেও ভর করেছে। তবে সবখানেই তারা ব্যর্থ।
‘ভুয়া ছাত্র সাজিয়ে স্কুলের ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে ভেতরে পাথর, চাপাতি, ছোরা, আগ্নেয়াস্ত্র। এসব হাতে নাতে ধরা পড়েছে। নীলক্ষেত থেকে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করেছে। হাজার হাজার স্কুল ড্রেস তৈরি করেছে, ভুয়া শিক্ষার্থী তৈরি করেছে।’
আওয়ামী লীগ অফিসে চারজন মেয়েকে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে ফেসবুকে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘কয়েকদিন পর সেই চারজনকে হাজারীবাগে পাওয়া গেছে। এখন পুলিশের কাছে আছে।’
যারা এ ধরনের প্রচারণা চালালো তারা কারা- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এদের চিনে রাখুন, এরা ছদ্মবেশী বিধ্বংসী রাজনৈতিক দল। এরা পারে না হেন কোনো কাজ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব আশাবাদী যে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর দেশের তরুণ সমাজের আস্থা আছে। এখনও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বাংলার সব নিরীহ মানুষের অভিভাবক। অভিভাবক সুলভ আহ্বান জানিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরাতে পেরেছেন।’
‘আল্লাহর অশেষ রহমত, আলহামদুলিল্লাহ। দেশের মানুষ আশঙ্কায় ছিল, আতঙ্কে ছিল- কখন যে কি হয়! আপাতত স্বস্তি ফিরেছে কিন্তু ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি।’
মওদুদ আহমেদকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার মুখে এখন গণতন্ত্রের বাণী শুনতে হয়। তিনি এখন সংলাপ চান, বিএনপি ছাড়া ইলেকশন হবে না? আমরা কি চাই বিএনপি ছাড়া ইলেকশন হোক? প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পরও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা আসেনি।’
‘আসলে সংলাপে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। সংলাপ তাদের ছলনা, আসলে তারা সংলাপ চায় না। তাদের সঙ্গে সংলাপ যারাই করেছে, রেজাল্ট জিরো। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সংলাপ কি করেননি? রেজাল্ট কী? তারা সংলাপ চান না, তারা চান সংঘাত। তারা বারবার সংঘাতের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে।’
ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ বদরুল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জাফর আহমেদ খান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমির রেক্টর মোশাররফ হোসেন।
আরএমএম/এএইচ/জেআইএম