খুলনা গাজীপুরের ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করছে আ.লীগ
রাত পোহালেই সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করছে খুলনা ও গাজীপুরের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে তিন সিটিতেও।
নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের ১০ বছরে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতে কেউ কখনো করতে পারেনি। ফলে জনগণও তার প্রত্যাশার জায়গাতেই ভোট দেবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে নির্বাচনী উপকরণ। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে টানা ভোটগ্রহণ।
জানা গেছে, ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে তিন সিটি এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছে, গত ১৯ জুলাই থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারাও বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
এছাড়া ১৪ দলের এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। সাধারণ ভোটাররা যারা কোনো দল করে না, তারা এলাকার উন্নয়নের গতি দেখে নৌকায় ভোট দেবে। তারা বলছেন, তিন সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ১৪ দল, বামদলগুলো এবং জাতীয় পার্টির কর্মীদের ভোট পড়বে নৌকা প্রতীকে। আর বিএনপি প্রার্থী পাবে শুধু নিজ দল ও জামায়াতের কিছু ভোট।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল (অব) ফারুখান তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জাগো নিউজকে বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে তিন সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণা চলেছে। বিএনপি প্রার্থীরাও বড় ধরনের কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি। আশা করি নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ উন্নয়নের ধারাকে পছন্দ করে। এ কারণে খুলনা ও গাজীপুরের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার প্রত্যাশা করছি। উন্নয়নের পক্ষে জনগণই ভোট দেবে তিন সিটিতে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রশ্নের জবাবে জাগো নিউজকে বলেন, তিন সিটিতেই আমরা বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ। কারণ, তিন সিটিতে আওয়ামী লীগ যে তিনজন প্রার্থী দিয়েছে তারা সবাই নিজ নিজ এলাকায় দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়া তাদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে প্রত্যেকের বিশাল অবদান আছে। সুতরাং জনগণ ভালোবেসেই নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।
এফএইচএস/এমআরএম