ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বিএনপির দুই নেতার কথোপকথন এডিট করা : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৮

বিএনপির দুই নেতার মধ্যে কথোপকথন এডিট করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘একটা অডিও বেরিয়েছে, আমাদের দুই নেতার মধ্যে কথোপকথন। যার উপর ভিত্তি করে আমাদের রাজশাহী জেলার সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আজকালকার প্রযুক্তির যুগটা আমরা এত ভালো করে বুঝি, মানুষ এতো ভালো বোঝে যে, আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাপনও তৈরি করে দেয়া যায়। কোনো কঠিন কাজ না। আপনারা নিজেরাই দেখতে পারেন কার কত রকম ছবি বের হয়, এর ঘাড়ে ওর মাথা। এটাই করেছেন আপনারা।’

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এ সভার আয়োজন করে।

সম্পূর্ণ বৈরী পরিবেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই কথাটা ভুলে গেলে চলবে না, আমরা সম্পূর্ণ ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে বাস করছি।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট কথাটায় জোর দিচ্ছি কারণ, মাহমুদুর রহমান তার পত্রিকায় সর্বপ্রথম লিখেছিলেন ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি শোনা যায়’। আজকে ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি সৃষ্টিকারীরা বুকে পাড়া দিয়ে বসে গেছে। মাহমুদুর রহমানকে আমি অনেক পছন্দ করি। তার মতের সঙ্গে আমার অনেক মিল আছে। সেই মাহমুদুর রহমানের কি হাল করেছে দেখেছেন আপনারা।’

ফখরুল বলেন, ‘কুষ্টিয়ার মতো বাংলাদেশে এখন আর কোনো জনপদ নেই। কুষ্টিয়ায় প্রশাসনও সন্ত্রাসী হয়ে গেছে, পুলিশ সেখানে সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। ওখানকার যে রাজনৈতিক নেতা, উনি সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। অথচ এই কুষ্টিয়াতে আওয়ামী লীগের লোকেরা পালিয়ে বেড়াত। এই কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে ঈদের জামাতে, যারা এখন মন্ত্রী আছেন, তাদের ছেলেপেলেরা গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। ভুলে গেলে চলবে না, ওই কারণেই মনে করাই যে, অতীতকে একটু মনে করুন। অতীতকে মনে না করলে নিজেকে চিনবেন না।’

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করে জাস্টিফাই করার জন্য যত রকমের কাজ আছে, আপনারা তা করছেন। আপনাদের মনে আছে, নয়াপল্টনের সামনে আমরা বিরাট মিটিং করছিলাম। সেদিন ১৫৪ জন গ্রেফতার হলো। আমি যখন ওই মিটিংয়ে ট্রাকের ওপর উঠলাম, তখন নাইটিঙ্গেল মোড়ে দুইটা পটকা ফুটল। সেদিন মাহমুদুর রহমানকে যেই লোক পিটিয়েছেন, এই লোক সেদিন এখানে ছিল। আমরা যে কোনো সময় সমাবেশ করার আগে ভয় পাই। কারণ, ওই যে ব্লেম গেম, ওরাই পটকা মারবে আর ওরাই আমাদের দোষ দেবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার এই খেলাগুলো ভালো জানে। এত ভয় কেন? এত ভীত হয়েছেন কেন? সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জনগণকে বোকা বানিয়ে আপনারা মনে করছেন পার পেয়ে যাবেন? জনগণ এত বোকা নয়। সব বোঝে মানুষ। তাদের মনে ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে। ’

বিচার বিভাগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আটক রাখার জন্য উচ্চ আদালতও সহযোগিতা করছে। তা নাহলে এমন নজির নেই যে, নিম্ন আদালতের জামিন উচ্চ আদালত আটকে দেয়। আমরা বিচার ব্যবস্থার ওপর কীভাবে আস্থা রাখব? ’

এনপিপি সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

কেএইচ/এসআর/এমএস

আরও পড়ুন