উন্নয়নে-অর্জনে শেখ হাসিনা বিশ্বের রোল মডেল : কাদের
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উন্নয়নে-অর্জনে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউ হ্যাভ মেইড আস ফিল প্রাউড (আপনি আমাদের গর্বিত করেছেন)।
শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার প্রতি অভিনন্দনপত্রে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের এ কথা বলেন।
ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া এবং দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার জন্য এ গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যিনি জীবনের জয়গান গান। ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে তিনি বারে বারে সৃষ্টির পতাকা উড়ান। যারা সৎ ও সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশের বহু মানুষের বুকে বল জোগায়। যারা মমতার হাত ছুঁয়ে গেছে সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, কুতুবদিয়া থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ। আমাদের পার্টির জননন্দিত সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনাকে অভিনন্দন।’
‘অসংখ্যবার আপনার প্রাণ নাশের চেষ্টা হয়েছে। সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায়, দেশবাসী দোয়ায় প্রতিবারই আপনি বিপদমুক্ত হয়েছেন। বাধার পাহাড় অতিক্রম করে আপনি সম্মুখবর্তী হয়েছেন। সেই কঠিন যাত্রায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আজ আপনি আলোকজ্জ্বল মধ্যাহ্নে দাঁড়িয়ে। অনন্ত বিস্ময় হয়ে গোটা বিশ্বকে আলোকিত করছেন মানবতার জননী, তুমি সবার হৃদয় করেছ জয়। আপনি আমাদের অযুত সাহস, অনন্ত বিস্ময়।’
অভিনন্দন পত্রে সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘উন্নয়নে, অর্জনে আপনি আজ গোটা বিশ্বের রোল মডেল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত একের পর এক সম্মাননা, ডক্টরেট পদক হাতে নিয়ে আপনি আপনার প্রাণপ্রিয় দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন। জন্য আপনার অকুতোভয় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে অর্জিত সাফল্য আমাদের জীবন ও রাষ্ট্রে যে গুণগত পরিবর্তন সূচিত করেছে, এর ধারাবাহিকতায় আজ আমরা উন্নয়শীল দেশের কাতারে।’
তিনি বলেন, ‘পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, ভোরের আলোর স্নিগ্ধতার মমতা মাথা স্পর্শে প্রকৃতি ও প্রাণীকূলে যেভাবে প্রাণের শিহরণ আনে তেমনি আপনারা উদ্ভাসিত আলোয় বিশ্ব সভায় আজ আমরা আলোকিত।’
‘১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ বৃষ্টিস্নাত দিনে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে এসেছিলেন।...আপনার দৃঢ়তা ও অটল সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বকে দেখিয়েছে সততার শক্তি, নিজস্ব অর্থে জনগণের অংশগ্রহণে পদ্মা সেতুসহ দেশের বৃহৎ স্থাপনাগুলো- রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বন্দর, মাতার বাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্ট, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হওয়ার পথে।’
ওবায়দুল কাদের অভিনন্দন পত্রে বলেন, ‘আপনার হাতে অবসান ঘটে স্বৈরশাসক, ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের। এই জাতির গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসকে যারা উল্টো পথে নিয়ে গিয়েছিল সেই অশুভ শক্তিকে বিচারের আওতায় এনে, বঙ্গবন্ধুর ঘৃণ্য হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করে কলঙ্ক মোচনে আপনি রাষ্ট্রনাকোচিত মুক্তিযুদ্ধের দীপ্ত এজন্য সারা জাতি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।’
‘ইউ হ্যাভ মেইড আস ফিল প্রাউড, ইউ হ্যাভ মেইড আস স্ট্যান্ড টলার, ইউ হ্যাভ মেইড আস লুক ব্রাইটার, ইউ হ্যাভ মেইড আস ফিল সেফার, ইউ হ্যাভ মেইড আস ফিল স্ট্রংগার’ বলেন কাদের।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শুধু জল ও স্থলই নয়, অন্তরীক্ষেও আজ আমাদের গৌরবময় বিচরণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়েও আপনি এক টুকরো বাংলাদেশ স্থাপন করে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও সাহসকে গগণচুম্বী করেছেন।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার হাত ধরেই আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করব ইনশাআল্লাহ।’
আরএমএম/জেএইচ/জেআইএম