সব স্রোত মিলেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
দলে দলে ব্যানার-ফেস্টুন ও মিছিলের পাশাপাশি ঢাকঢোল বাজিয়ে গণসংবর্ধনা স্থলের দিকে এগিয়ে চলছেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত পুরো প্রাঙ্গণ। রাজধানীসহ আশপাশের জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের ঢল পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। আর এই জনস্রোত সব গিয়ে মিলছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়ার জন্য নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন সকাল থেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনস্রোতও বাড়তে থাকে। আজ (শনিবার) বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই আনাগোনা নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগ নেতারা আশা করছেন তিন লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটবে এ গণসংবর্ধনায়।
ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া এবং দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ গণসংবর্ধণা দেয়া হচ্ছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেরেবাংলা নগর থানার ৯৯ ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেয়ার জন্য আমাদের ওয়ার্ড থেকে ২০০ জনের মতো এসেছি। এই গণসংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
উত্তরা থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী নাজমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের এলাকা থেকে আরও অনেকে এসেছেন গণসংবর্ধনা দিতে।
শাহবাগ, টিএসসি ও দোয়েল চত্বর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেয়ার জন্য নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছেন। উদ্যানে প্রবেশপথে তল্লাশি করছেন সবাইকে।
জেএ/এএস/বিএ/এমএস