কোটা বাতিল করা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব : আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে যখন গোটা বাংলাদেশে জেগে উঠেছে তখন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমস্ত কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দিলেন।
তিনি বলেন, 'যদি কেউ জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেন, সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা তার দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাতে দেশের শুধু এই ছাত্র সমাজ মেধাহীন হচ্ছে তা নয়। তাতে মেধাবী বাংলাদেশ গড়ে উঠছে না বরং বঞ্চিত হচ্ছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক ‘প্রতিবাদী যুব সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম নামের একটি সংগঠন এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আমীর খসরু বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করেছে কোটা সংস্কারের জন্য। যাতে করে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উন্মুক্ত থাকে।
তিনি বলেন, মূল কথা হচ্ছে মেধার ভিত্তিতে চাকরি অর্থাৎ দেশ পরিচালনার সুযোগ থেকেই মূলত কোটা সংস্কারের বিষয়টি উঠে এসেছে।
বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, আমরা দেখছি দেশের ছাত্র সমাজ আজ একটি সন্ত্রাসী দলের নিপীড়ন, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাই এই দলটিকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত করা উচিৎ। তাদের নির্যাতন-নিপীড়নে আজ বাংলাদেশের সব মানুষ নিরবে কাঁদছে।
তিনি বলেন, যেভাবে সরকারি লোকেরা দিবালোকে ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তা অবিশ্বাস্য। ছাত্র সমাজ আন্দোলন করছে একটি মেধাবী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। এই ছাত্রসমাজ আন্দোলন করছে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে আগামীতে মেধাবীরা যেন বাংলাদেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মিসেস খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এমএমজেড/পিআর