ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নির্বাচন যুদ্ধের মতো, থাকে নানা রকম কৌশল : নাসিম

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ২৯ জুন ২০১৮

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গাজীপুরে যে ৯টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে সেখানে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন হলো যুদ্ধের মতো। এখানে নানা রকম কৌশল থাকে। আগামী নির্বাচনগুলোতেও ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে ১৪ দল।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জিসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করায় সেখানকার ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে উন্নয়ন, শান্তি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে, নৌকার পক্ষে রায় দেয়ার জন্য গাজীপুরবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে পরাজিত হয়- এ ধরনের কিছু অশুভ শক্তি আছে। তারা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে ভয় পায়। ১৪ দলের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে ভয় পায় । মুখচেনা- বর্ণচোরা ব্যক্তিরা ঐক্যের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এদের পেছনে কারা আছে আমরা সবাই জানি। এই অশুভ শক্তির বিষয়ে সতর্ক রয়েছে ১৪ দল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্পষ্ট বলতে চাই, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আসছে। নির্বাচনকে ঘিরে এই অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন দেয়ার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মোকাবেলা করা হবে। জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণের শক্তির প্রতীক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অশুভ শক্তিকে মোকাবেলায় প্রয়োজনে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিয়ে আরও সমাবেশ করবো।

আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেবে ১৪দল- উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচন হচ্ছে জনগণের রায় দেয়ার একমাত্র উপায়। শেখ হাসিনা গত প্রায় ১০ বছরে কোনো নির্বাচন বিলম্বিত হতে দেননি। এটা সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি শেখ হাসিনার আনুগত্যের প্রমাণ।

আগামী তিন সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে, এটা খুব ভালো সংবাদ। এ জন্য তিনি বিএনপি নেতাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া এ সভা থেকে শেখ হাসিনাকেও অভিনন্দন জানান তিনি। কারণ, আগামী নির্বাচনগুলোও ১৪ দলের শরিকদের নিয়ে জোটবদ্ধভাবে করতে চান শেখ হাসিনা।

এ সময় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচএস/জেডএ/পিআর

আরও পড়ুন