ফের গাজীপুর পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার চাইল বিএনপি
গাজীপুর সিটির পুলিশ সুপারকে ফের প্রত্যাহার করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনুরোধ করেছে বিএনপি। সেখানকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এই দাবি জানায় দেশের অন্যতম প্রধান দলটি। এর আগেও এ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়েছিল দলটি। কিন্তু ইসি তাদের কথা শুনেনি।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে দলটির প্রতিনিধি দল। ২৬ জুন ভোট উপলক্ষে তারা সেখানে যান। বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, একজন ব্যক্তির জন্য নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক এটা হতে পারে না। তাকে প্রত্যাহার করা হলে নির্বাচনী পরিবেশ দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশঙ্কা আছে বলেই তো আলোচনা করছি। গাজীপুরে ১১ লাখ ভোটার। এরা যদি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে না পারে তাহলে তার সীমাবদ্ধ গাজীপুরে থাকবে না, এর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে।
তিনি বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি সংবিধানে আপনাদের অনেক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সেগুলোর সঠিক ব্যবহার করুন। অপব্যবহার নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও বরকত উল্লাহ বুলু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বৈঠকে সিইসির সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭ মেয়র, ২৫৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে।
মেয়র প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)।
এইচএস/জেএইচ/পিআর