কাদেরের সমালোচনায় রিজভী
ঈদ পরবর্তী কর্মদিবসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনায় সরব হলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হোক বিএনপি তা চায় না।’ এভাবে অগণতান্ত্রিক সরকারের মিথ্যাবাদী গোয়েবলসের ভূমিকা পালন করছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবরা।’
রিজভী বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন নানাভাবে যেমন, বাথরুম আর মেঝেতে ইদুঁর আর তেলাপোকার অবাধ বিচরণের সুযোগ করে দিয়েছেন। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে দেশনেত্রীর কক্ষের চারদিকের দেয়াল থেকে সিমেন্ট আর বালি ঝড়ে পরার অবাধ সুযোগ দিয়ে দেশনেত্রীর সদ্য অস্ত্রপচারকৃত দুটি চোখকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করার সুযোগ করে দিয়েছেন, সুযোগ করে দিয়েছেন সিমেন্ট আর বালিতে আকীর্ণ কক্ষটিতে বসবাসের কারণে সার্বক্ষণিক হাঁচি,কাশি ও জ্বরের মধ্যে ভুগতে। ৫/৬ মিনিট অজ্ঞান হয়ে পরে থাকার পরও ঘটনাটি কারা কর্তৃপক্ষের অগোচরে ছিল যদি না স্বজনরা দেখা করেত গিয়ে সেটি না জনতেন। প্রকৃত যে কারণে তিনি অজ্ঞান হয়েছিলেন সেটি সম্পর্কেও তারা মিথ্যা কথা বলছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন সাব-জেলে ছিলেন তখন কীভাবে ওনার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছিল এটার উত্তর দেবেন কি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক? তিনি কি এরকম একটি পরিত্যক্ত ভবনে ছিলেন?
তিনি প্রশ্ন করেন, পৃথিবীর কোন দেশে সাবেক সরকার প্রধানকে এরকম পোড়ো পোড়ো বিধ্বস্ত স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রাখে?
রিজভী বলেন, বিরোধীদের প্রতি আওয়ামী লীগের আচরণ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চাইতে কোনো অংশেই কম নয়। যেমন ঈদের দু’দিন আগে থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের উপর ওবায়দুল কাদের সাহেবের নির্দেশে যে বাঁধা ও নির্দয় আচরণ করা হয়েছে তার নজির একমাত্র আওয়ামী লীগই।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘কাল্পনিক বানানো গল্পে চ্যাম্পিয়ন আওয়ামী নেতারা। বাণিজ্যমন্ত্রী আপনি ভুলে গেছেন, কারাগার থেকে চিকিৎসার নামে বিদেশে যাওয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য আপনার নেত্রীর। রাজনীতি থেকে প্রধান নেতৃত্বকে মাইনাস করার তত্ত্ব আপনাদের কয়েকজনের মাথা থেকে এসেছে- এরকম একটা ধারণা জনগণ পোষণ করে। এক্ষেত্রে বহুল প্রচারিত মাইনাস টু তত্ত্ব আপনাদেরই মানস সন্তান। এখন আপনারা কী এখন মাইনাস টুতে আছেন, না মাইনাস ওয়ানে আছেন? বেগম জিয়া এমন নেত্রী যাকে জোর করে বিদেশ পাঠানো যায়নি। কিন্তু আপনার নেত্রী সহজেই দেশ ছেড়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইউনাইটেড হাসপাতালে দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না। অপপ্রচারের মিথ্যা-সন্ত্রাস করে ধারাবহিক অশান্তি জিইয়ে রাখলে এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে।
কেএইচ/এমএমজেড/জেআইএম