অনুমতি নেই, খালেদার সাক্ষাৎ পাননি বিএনপি নেতারা
কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিন সাক্ষাৎ করতে না পেরে কারা প্রাঙ্গণ থেকে ফিরে গেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বানুমতি না থাকায় তারা দেখা করতে পারেননি।
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহিলা নেতা-কর্মীরা এবং কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা কারাগারের সামনে যান।
কারাগারের মূল ফটক থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে নেতৃবৃন্দকে আটকে দেয়। পরে সেখানে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীও অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী ও এ দেশের মানুষের হৃদয়ের মনি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা হয়েছে। ঈদের দিনে আমরা তার সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। তিনদিন আগে আমরা সাক্ষাতের জন্য আবেদন করেছিলাম (আবেদনে চিঠির অনুলিপি দেখান)।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম আছে ঈদের দিন বন্দির সাথে দেখা করার। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে এখানে আটকে রেখেছে। জেল গেইটের কাছেও যেতে দিচ্ছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
পুলিশ বেষ্টনীর কাছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা সাক্ষাতের জন্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের সেখানে যেতে দিল না। এটার তাদের কাজ নয়। পুলিশের দায়িত্ব ছিল আমাদেরকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা অনেকবার জেল খেটেছি, অনেক বছর জেলে থেকেছি। দেখেছি ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজন, কাছে মানুষদের দেখা সাক্ষাৎ করার সুযোগ থাকে, সুযোগ দেয়। তবে এবার যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে, এ রকম অতীতে আর কখনো দেখিনি।’
কেএইচ/আরএস/এমএস