ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদা চাইলে মঙ্গলবার নেয়া হবে বিএসএমএমইউয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ১১ জুন ২০১৮

বিএনপি নেতারা কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির দাবি জানালেও কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার বলছেন, কারাবিধি অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া চাইলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতা নিয়ে আলোচনার মধ্যে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক।

তিনি বলেন, ‘আমরা উনাকে আগামীকাল সকালে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাব। বিএসএমএমইউ তৈরি রাখতে বলেছি। তবে উনি যদি রাজি থাকেন। উনার রাজি হওয়ার একটা বিষয় আছে।’

গেল শনিবার কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার ব্যক্তিগত চার চিকিৎসক। সেখান থেকে বেরিয়ে কারা ফটকের সামনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ করেছিলেন বলে ধারণা তার।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ৫ জুন দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়া হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান। ৫-৭ মিনিট পর তার জ্ঞান ফিরলেও ওই সময়ের কথা কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে। আগামীতে বড় ধরনের স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

খালেদা মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না তা নিশ্চিত হতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হবে বলে গতকাল জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তবে কখন তাকে হাসপাতালে নেয়া হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বেগম জিয়াকে কখন হাসপাতালে নেয়া হবে তা আইজি প্রিজনই বলতে পারবেন।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, জেল কোড অনুযায়ী সরকারি অর্থ খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ নেই। যে কারণে বিএনপির দাবি অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে বেসরকারি হাসপাতালে কারও চিকিৎসায় অনুমোদন দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যয় কে বহন করবে, কীভাবে করবে, তার ফয়সালা করতে হবে।

খালেদা জিয়া পড়ে গিয়েছিলেন ও মাইল্ড স্ট্রোক করেছেন বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যে মন্তব্য করেছেন সে সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ ইফতেখার বলেন, ‘উনি অজ্ঞান হননি, ইমব্যালেন্সড হয়েছিলেন।’

উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। ওইদিনই তাকে কারাগারে নেয়া হয়।

এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই বন্দী রয়েছেন তিনি।

বিএনপি নেতারা বলে আসছেন কারাগারে ভালো নেই তাদের দলনেতা। তবে আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

জেইউ/এনএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন