ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বিএনপির ত্রাণ কর্মসূচিতে বাধার অভিযোগ ফখরুলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ৩০ মে ২০১৮

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল, তাতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া এই কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগও করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি চারটি স্পটে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি, সেখানের সব আয়োজন পুলিশ তছনছ করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

ফখরুল বলেন, ‘এ জন্য তিনদিন আগে ডিএমপির (ঢাকা মহানগর পুলিশ) কাছে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত পুলিশ কিছু বলেনি। রাত ১২টার বলা হয়, ঘরের মধ্যে কিছু করতে চাইলে করা যাবে, কিন্তু বাইরে করা যাবে না। কিন্তু আমাদের ঘরের মধ্যেও কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না পুলিশ।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন,, ’আমি প্রথমে টিঅ্যান্ডটি স্কুল মাঠে গিয়ে দেখি, পুলিশ সেখানকার চেয়ার-টেবিল ভেঙে দিয়েছে। তার মধ্যেও কিছু ত্রাণ বিতরণ করে মোহাম্মদপুর টাউন হলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানেও পুলিশ যেতে দেয়নি। সেখান থেকে আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলাবাগানেও যাওয়ার কথা ছিলে, সেখানেও বাধা দিয়েছে। কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘সরকারের দমন নীতি হলো বিরোধী দলের পথ ও মতকে দমন করা, বিএনপিকে দমন করা। বিশেষ করে জিয়াউর রহমানের আদর্শকে নির্মূল করতে সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়েছে।’

bnp

নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে চায় সরকার

নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে চায় সরকার-এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যেখানে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে, সেখানে কোনো জেনারেটর নেই। প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে মোমবাতি ও হাতপাখা দিয়ে চলতে হয় খালেদা জিয়াকে। এই যে অমানবিকতা ও হৃদয়হীন আচরণ-এর কোনো তুলনা নেই।'

ফখরুল বলেন, ‘মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তারা দেখেছেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এমন অসুস্থ যে, তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না। প্রতি রাতে তার জ্বর আসছে। এটা যে কোনো সুস্থ মানুষের জন্য সংকটাপন্ন অবস্থা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলাম, সেখানে কখনও বিদ্যুৎ যেত না। কারণ, সেখানে সার্বক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল। এখন খালেদা জিয়াকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেটা কোনো দিক দিয়ে কারাগারের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। সাধারণ প্রথম শ্রেণির বন্দী হিসেবে খালেদা জিয়ার যতটুকু প্রাপ্য অধিকার, সেই টুকুও তিনি পাচ্ছেন না।’

ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীরা কারাগারের সুবিধার বাইরে নিজের খরচে অনেক সুবিধা ভোগ করেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরাও সেই সুবিধা ভোগ করেছি। কিন্তু খালেদা জিয়াকে তা করতে দেয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা বাইরে থেকে কোনো কিছু নিয়ে যেতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠিয়েছিল। সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তার কাছে (প্রধানমন্ত্রী) দেশ-বিদেশ থেকে অনেক অনুরোধ এসেছে, যেন খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিছুই করেননি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এসআর/জেআইএম

আরও পড়ুন