বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব জনগণের সঙ্গে জনগণের : রিজভী
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অাহমেদ বলেছেন, দু’দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) বন্ধুত্ব হলো জনগণের সঙ্গে জনগণের। অতীতের মতো কলঙ্কজনক নির্বাচন সমর্থন করা ভারতের উচিৎ হবে না।
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নিজ দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী এখন মুরুব্বীদের কাছে দেনদরবার শুরু করেছেন। কারণ শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন তাদের দুঃশাসনের জবাব দিতে মানুষ প্রস্তুত।
রিজভী বলেন, সরকারি অর্থ ব্যয় করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের কাছে আকুতি জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফর করেছেন। এমন খবরই দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে স্বার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ট্রানজিটসহ ভারতকে সব কিছু উজাড় করে দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু বিনিময়ে কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। তবে প্রতিদান হিসেবে ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার বরাত দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুক্রবার শান্তি নিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবনে’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন হাসিনা। শুক্রবার ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের পরে সেখানেই মোদির সঙ্গে বৈঠকে হাসিনা জানিয়েছেন, ট্রানজিটসহ সব দিয়েছে তার সরকার, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বরাবার দিল্লির পাশে থেকেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের বছরে এবার তাই ভারতের সহযোগিতা চাই।’
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র হত্যা করে, দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে বন্দুকের জোরে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার পরও প্রধানমন্ত্রী একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের মনোবাসনা পূরণে নিরাপদ বোধ করছেন না। তাই তাদের চিরাচরিত আশ্রয়স্থল ভারতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অাহমদ অাজম খান, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তাইফুল ইসলাম, মুনির হোসেন, বেলাল অাহমদ, শামসুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/আরএস/এমএস