ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

একজনকে দিয়ে আরেকজনকে মাইনাস করার চেষ্টা চলছে : মোশাররফ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১০ মে ২০১৮

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‌একজনকে দিয়ে আরেকজনকে মাইনাস করার পরিকল্পনার চেষ্টা হচ্ছে। শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার (মাইনাস টু) যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা যদি বাস্তবায়ন হয়ে যায় তবে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট’ এ সভার আয়োজন করে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শেখ হাসিনার মাধ্যমে যারা খালেদা জিয়াকে মাইনাস করাতে চায়, তারা যদি খালেদা জিয়াকে মাইনাস করাতে পারে, তার কয়েকদিনের মধ্যে শেখ হাসিনাকেও মাইনাস করবে।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র থেকে আপনি পিছু হটেন। সরে আসেন, নাহলে মাইনাস টু’র যে পরিকল্পনা ছিল তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। আপনি খালেদা জিয়াকে মাইনাস করবেন? তা ভুলেও চিন্তা করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘শুধু আইনের লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলন করেই মুক্ত করতে হবে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘নির্যাতন সহ্য করতে করতে মানুষের যখন আর সহ্য ক্ষমতা থাকেনা, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন যে ধরনের প্রতিক্রিয়া দরকার সেটা দেখাতে বাধ্য হয়। আমরা এখন নিরামিষ আন্দোলন করছি। তবে কঠিন থেকে কঠিনতম আন্দোলনে বিএনপি যাবে। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকবে আর একাদশ নির্বাচন হবে? এটা সম্ভব না। যারা মনে করে বিএনপি গণজাগরণ সৃষ্টি করতে পারবে না, তাদের বলতে চায়- ছাত্ররা যেভাবে আন্দোলন করেছে, মাত্র তিন দিনে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তিন দিন আগে সাংবাদিকসহ গোয়েন্দারাও বুঝতে পারেনি, কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে?

তিনি বলেন, ‘সময় আসছে একই ধরনের গণজাগরণ সৃষ্টি হবে- সেটা কোনো নোটিশ দিয়ে আসবে না। তাই বলছি, দেশে গণতন্ত্র নিয়ে আসুন, সুষ্ঠ বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তা নাহলে গণজোয়ারে ভেসে যাবেন।’

খুলনার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘খুলনায় তাদের নিয়ন্ত্রিত পুলিশসহ এক সঙ্গে নির্বাচনে নেমেছে। আর তারাই বলছে, খুলনায় না কি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। আসলে তারা পরিকল্পনা করেছে আগের দিন সিল মারার। এ দুঃসাহস করবেন না। জনশ্রোতের বন্যায় ভেসে যাবেন। খুলনার জনগণ প্রস্তুত আছে। যে কোনো ধরনের ভোট ডাকাতি ঠেকাবে তারা। জনগণ এটা প্রতিহত করবে।’

আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

কেএইচ/এসআর/জেআইএম

আরও পড়ুন