ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

আওয়ামী লীগ সেনা মোতায়েনে ভয় পাচ্ছে : খসরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৮

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হলে আওয়ামী লীগের সমস্যা কোথায় তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, দেশের যে কোনো ধরনের দুর্যোগ উত্তরণে সেনাবাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তাহলে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে এই বাহিনীর ভূমিকা থাকলে ক্ষতি কি?

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত ‘নাগরিক অধিকার ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারটি সরকারের কাছে এতো স্পর্শকাতর হয়ে গেলো কেন-তা দেশের মানুষ বুঝেছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেদের দুর্বলতার কারণে ভয় পাচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রতি কোনো রাজনৈতিক দলের দুর্বলতা থাকলে বুঝতে হবে তারা দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি অন্যায় করছে। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করলে তাদের ভয় হতো না।’

আগামী সংসদ নির্বাচনে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বলেও দাবি করেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে উন্নয়নের মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে আমির খসরু বলেন, ‘তারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে উন্নয়নের কথা বলে যাচ্ছে। অধিকার কেড়ে নিয়ে যখন বারবার উন্নয়নের কথা বলতে থাকে তখন আপনাকে বুঝতে হবে এটা একটা নিশ্চিত স্বৈরাচার সরকার। যুগে যুগে এটা হয়ে আসছে। উন্নয়নের কথা বিক্রি করে ক্ষমতা ধরে রাখা।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি বিনিয়োগে যে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে তার টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। এই টাকা সুইস ব্যাংক, লন্ডন, মালয়েশিয়া এবং কানাডাও যাচ্ছে, সেখানে বাড়ি করছে। বিশ্ব এখন ওপেন, কার বাড়ি কোথায় সব জানা যায়। এগুলো লুকানো সম্ভব নয়। পানামা পেপারসে তাদের নাম এসেছে। ব্যাংকগুলো খারাপ পরিস্থিতি করে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে দুই বছর আগে, এখনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করছে না। কারণ এই টাকা চুরির পেছনে তাদের লোকজন জড়িত, বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

সরকার প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করছে ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে বিষয়টি তদন্তের প্রয়োজন করা হবে বলে উল্লেখ করেন সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী।

‘যে সময় দেশে মানুষের চাকরি নেই, ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে-তখন যদি বলেন ৭ শতাংশ প্রবৃদ্বির কথা এর চেয়ে মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বলছে, এই খবর সত্যি নয়। কারণ অর্থনীতির মাঠ পর্যায়ের যে খবর তার সঙ্গে এই প্রবৃদ্ধির খবরের মিল নেই।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এস এম হাসান তালুকদার, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

কেএইচ/এমএমজেড/এমএস

আরও পড়ুন