স্থায়ী কমিটির পদ হারাতে পারেন সাকা!
বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরাম তথা স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) দলীয় পদ থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়কে ঘিরে এ সংশয় দেখা দিয়েছে। বুধবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ৯টি প্রমাণিত হয় এবং ৪টি অভিযোগে বিএনপির এই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিএনপির র্শীষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাকা চৌধুরী চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হলে বিএনপি বিষয়টি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার পদ বলবৎ থাকবে কিনা তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি দলের পক্ষ থেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একটি পক্ষ বলেন, সাকা চৌধুরীকে এখনই দল থেকে বাদ দিতে চায় না বিএনপি। কারণ এই মুহূর্তে তাকে বাদ দিলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। বিএনপির মধ্যেও মানবতাবিরোধী অপরাধী রয়েছে তা প্রমাণিত হবে। তাই আপাতত বিষয়টি নিয়ে নীরব থাকবে দলটি।
রায় বিপক্ষে গেলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রায় দেয়া হয়েছে বলে সমালোচনার চেষ্টা করবেন তারা।
তবে বিএনপির অপর এক পক্ষ মনে করছে, কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের দল থেকে বাদ দেয়াই মঙ্গল হবে। অন্যথায় সরকার এটাকে ইস্যু করে বিএনপিকে তিরস্কার করবে। রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর জেলা বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা জাগো নিউজকে বলেন, দোষী সাব্যস্ত হলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরকে দল থেকে বাদ দেয়া উচিত হবে। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল হিসেবে কোনো মানবতাবিরোধীদের স্থান দলের মধ্যে থাকতে পারে না। রায় যদি সঠিক হয় তাহলে বিএনপি এটা নিয়ে কোনো আন্দোলনে যাবে না বলেও মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ জাগো নিউজকে বলেন, চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে তিনি বিয়ষটি নিয়ে কোনো কথা বলবেন না। তবে রায় সঠিক হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এমএম/এসকেডি/একে /আরআইপি