খালেদা জিয়ার মুক্তিই প্রথম শর্ত: ফখরুল
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই বিএনপির প্রথম শর্ত বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মুক্তি ছাড়া বিএনপি কোনো প্রকার আলোচনায় যাবে না বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির অন্যতম শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) নিজেদের ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মৌলিক বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। খালেদি জিয়ার মুক্তিই একমাত্র দাবি। মুক্তির পরই অন্য বিষয়ে আলোচনা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার কথা বলি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলো আমাদের এক নম্বর দাবি। এক নম্বর শর্ত। তাকে আগে মুক্তি করতে হবে। তার পর অন্যকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে কোনো কিছুর আলোচনা পর্যন্তও হবেনা।’
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটি কঠিন সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।’
বিএনপি নেতাদের অস্বাভাবিক লেনদেন নিয়ে যে সন্দেহের প্রচারণা রয়েছে তার জবাবে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিজেদের দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সরকার।’
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘অর্থনীতি নিয়ে কেউ কথা বললে তাকে বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহী, সংবিধান ও মানবাধিকার নিয়ে বললেও বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহী। বলা হয়ে থাকে সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু সে কথার প্রতিফলন আজ কোথায়? আজ দেশের সকল ক্ষমতার উৎস হল একজনের কাছে। তাদের হাতে বন্দুক। তাদের প্রশাসনের হাতে বন্দুক। ক্ষমতাও তাদের হাতে। এরা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জেগে উঠতে হবে। অনেক নাটক সাজায় সরকার। দল ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। মিথ্যা কথা বলে দলের মধ্যে বিভ্রান্ত করতে চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দু:সময় চলছে। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তিনি বলছেন কারো সাথে আপোষ করি নি।’
তরুণদের ফেসবুকের চেয়ে রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে সরকার বিরোধী এই নেতা বলেন, তরুণরা কোথায়? তরুণদের জেগে উঠতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে তরুণদের রাস্তায় সোচ্চার হতে হবে।’
জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে খেলাফত মজলিশের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইসহাক, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদয়ানুল আহমেদ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এসআর/এমএস