২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের আহ্বান আওয়ামী লীগের
আগামী ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাক-হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর নির্বিচারে চালায় বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত্রি।
২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির উপর হিংস্র দানবের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ কালো রাতে শুরু হওয়া পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যা চলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় ধরে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিয়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার সেই নৃশংস ঘটনার স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ মহান জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়। গতবারের মতো এবারও ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী ২৫ মার্চ রবিবার ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীসহ দলের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে দিবসটির যথাযথ মর্যাদা অনুযায়ী সভা, সমাবেশ, র্যালি, আলোকচিত্র প্রদশর্নীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার জন্য বিবৃতিতে তিনি অনুরোধ জানান।
এইউএ/এমবিআর/এমএস