খালেদার মামলায় আইনি পরামর্শ দেবেন ব্রিটেনের আইনজীবী
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের পরামর্শ দিতে ব্রিটেনের এক আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ব্রিটেনের এই আইনজীবীর নাম লর্ড কারলাইন।
মঙ্গলবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লর্ড কারলাইন আন্তর্জাতিক আইন মেনেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের পরামর্শ দেবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে ৩৬টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় বেআইনি সাজা দেয়া হয়েছে নজিরবিহীনভাবে। এতে প্রমাণ হয়, দেশে আইনের শাসন নেই।
আইনজীবী লর্ড কারলাইন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন ব্রিটেনের রাজনীতি ও আইন পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ব্রিটেনে আমাদের রাজনীতির যারা সমর্থক রয়েছেন সেখানকার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার মামলাগুলো পরিচালনা করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন।
খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার জন্য দেশের আইনজীবীরা তাহলে কি যথেষ্ট নয়? -এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা ঠিক না, বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার জন্য। আমরা (বিএনপি) তাকে পেয়ে আনন্দিত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমার ঢালী, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল (২০ মার্চ, সোমবার) দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ মার্চ খালেদার চার মাসের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার আপিল শুনানির জন্য ওই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেন।
১৪ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। ওইদিন জামিন শুনানি শেষ হলেও পরদিন ১৯ মার্চ (সোমবার) রায় দেয়ার জন্য দিন ধার্য করা হয়। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ দেন।
কেএইচ/আরএস/পিআর/জেআইএম