উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের আশঙ্কায় জাপা
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংসদীয় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। কেন্দ্র দখলের আশঙ্কায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার দ্বারস্থ হয়েছে দলটি।
রোববার (১১ মার্চ) সকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটির প্রতিনিধি দল। দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারের নেতৃত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এসএম ফয়সল চিশতী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৩ মার্চ এই দুই আসনে উপ-নির্বাচন হবে। বৈঠকে দলটির পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনায় বলা হয, দুই আসনে ১৪টি করে মোট ২৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রগুলো দখল হতে পারে। এছাড়া কী কী আশঙ্কা রয়েছে তা লিখিতভাবে জানিয়েছি। গতকালকে (শনিবার) আমরা শুনেছি সুন্দরগঞ্জের বাইরের অনেক লোক ঢুকেছে, অনেক জেলা থেকে এবং তারা কেন্দ্র দখল করবে। এর আগের নির্বাচনগুলোতেও তারা এগুলো করে ব্যবধান রেখে জয়যুক্ত হয়েছে। সেই জন্য আমরা আশঙ্কা করছি, এই এক্সারসাইজটা তাদের (আওয়ামী লীগের) জানা আছে এবং করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সেখানে প্রশাসনিক সাহায্য, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট করার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছি। এই দুটি নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে।
জাপার এ নেতা বলেন, রংপুর ও কুমিল্লা সিটিতে ভালো নির্বাচনের উদাহরণ আছে। এর পরে যদি অবনতি হয়, আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং সংশয় দেখা যায়। তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। সিইসি বলেছেন, তিনি সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মুহাম্মদ ছায়েদুল হক এবং সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ ও গাইবান্ধা-১ আসন দুটি শূন্য হলে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।
এইচএস/আরএস/পিআর