ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী ভোট চাচ্ছেন, খালেদা জিয়া অন্ধকার প্রকোষ্ঠে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, যে মানুষটি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করলেন, যে নেত্রী অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করে নিয়ে আসলেন, সেই নেত্রীকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটাতে হচ্ছে। যখন রাজশাহীতে হেলিকপ্টারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভোট চাচ্ছেন সরকারি টাকা খরচ করে তখন খালেদা জিয়াকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটাতে হচ্ছে। এটা কখনও গণতন্ত্র হতে পারে না। এটা সমান মাঠ হতে পারে না। এই অবস্থা আমাদের বদলে দিতে হবে।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের একটা আশা ছিল দেশনেত্রীকে আটক করতে পারলে বিএনপি ভেঙে যাবে। বিএনপি ভাঙেনি। বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর গণতন্ত্রের জন্য আমরা এই সংগ্রাম করছি। খালেদা জিয়া সেই সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজকে তিনি কারাগারে। আমরা যারা বাইরে আছি আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হবে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করে সমস্ত শক্তি সংগঠিত করে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমাদের পরীক্ষার সময়। এত পরীক্ষা জাতিকে কখনও দিতে হয়নি। আজকে আমরা যে সংগ্রাম করছি এটা বিএনপির জন্য সংগ্রাম নয়। খালেদা জিয়ার জন্য সংগ্রাম নয়। এই সংগ্রাম দেশকে রক্ষা করার সংগ্রাম। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার সংগ্রাম। এদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম। বর্তমান পরিস্থিতি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে আমরা বিজয় অর্জন করব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানি তারা (সরকার) আমাদের অনেক উসকানি দেবে, ফাঁদ পাতবে। কোনো ফাঁদে যেন আমরা পা না দেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। একই সঙ্গে আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম সেই গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে লুণ্ঠিত করা হয়েছে। অপহৃত করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সমস্ত অধিকার হারা হয়েছে। তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুক্তদেশে সুন্দরভাবে বাস করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), ইনাম আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, মনিরুল হক চৌধুরী, গোলাম আকবর খন্দকার প্রমুখ।

ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ নেছারুল হকের কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

এমএম/জেডএ/আইআই

আরও পড়ুন