ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

লতিফ সিদ্দিকীকে ইসির চিঠি

প্রকাশিত: ১১:২৪ এএম, ২১ জুলাই ২০১৫

নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের ব্যাপারে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার সচিব সিরাজুল ইসলাম মঙ্গলবার জাগো নিউজকে একথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২ আগস্টের মধ্যে নিজ নিজ অবস্থানের পক্ষে দুই পক্ষের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। উভয় পক্ষে শুনানি করে চূড়ান্ত রায় দেবে ইসি।

এদিকে এ বিষয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তারা ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এমপি পদ টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন তিনি। এজন্য আইনি সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া তার অবস্থান জানিয়ে ইসিতে একটি দীর্ঘ চিঠিও দেবেন তিনি। ইতিমধ্যে ওই চিঠির খসড়া তৈরি হয়েছে।

পবিত্র হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় দলীয় সদস্য পদ ও মন্ত্রিত্ব হারানোর পর এবার সংসদ সদস্য পদও হারাতে বসেছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ ক্ষেত্রে শুনানি করেই তার ভাগ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ইসি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানোর বিষয়ে স্পিকারের চিঠির পর নড়েচড়ে বসেছে ইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ১৩ জুলাই চিঠি পাঠিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছয় পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্পিকারকে পাঠানো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চিঠিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, এখন তো সময় নেই। তাই ঈদের পরেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। কেননা, লতিফ সিদ্দিকী দলের বিপক্ষে ভোট দেননি বা পদত্যাগ করেননি। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মাত্র। সংসদের কোনো আসন এ জন্য শূন্য হওয়ার নজির নেই। তবে দলের পদ হারালে সংসদ সদস্য পদ হারানোর নজির রয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে ইসি। সে হিসেবে দুই পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে নতুন করে চিঠি দিলো ইসি।

এইচএস/বিএ/পিআর