‘উপ-কমিটিতে কাউয়াদের জায়গা দেয়া হয়েছে’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের শতাধিক সাবেক নেতা। এর আগে শনিবারও তারা বিক্ষোভ করেছিলেন। তাদের অভিযোগ- উপ-কমিটিতে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে দলছুট ‘কাউয়াদের’ জায়গা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির খসড়া তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে সহ-সম্পাদক হিসেবে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের বিএনপি-জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এমনকি নেতার বাড়ির কাজের লোকও স্থান পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নূর হোসেন সৈকত।
ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। কিন্তু এখন উপ-কমিটিতে আমাদেরকে বাদ দিয়ে দলছুট, কাউয়াদের জায়গা দেয়া হয়েছে। যারা জয় বাংলা বলে মিছিল দেয়নি তাদেরকে জায়গা দেয়া হয়েছে। এ কমিটিকে বাতিল করে ছাত্রলীগের সাবেক ত্যাগী নেতাদেরকে জায়গা দিতে হবে।’
রোববার বিক্ষোভ চলাকালে সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিটে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গাড়িতে করে ধানমন্ডি ৩/এ কার্যালয়ে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নামার পরপরই তাকে ঘিরে আগের দিনের মতেই হৈ চৈ করতে থাকেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা।
এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু আব্বাস ওবায়দুল কাদেরকে বলেন, ‘নেত্রী আমাদের নাম রাখার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু আমাদের রাখা হয়নি। কী কারণে রাখা হয়নি? আমরা তো জেলও খেটেছি।’
এ সময় কাদের তাদেরকে বলেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতা সবাইকে রাখা হবে।’
তখন পেছন থেকে একজন বলেন, ‘তাহলে তো এক লাখ হয়ে যাবে’।
কাদের বলেন, ‘যোগ্যতাসম্পন্ন সাবেক ছাত্রনেতা সবাইকে রাখা হবে।’
ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের এ বাদানুবাদ চলার সময় বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে পুলিশ আসতে থাকে। তবে তারা কাউকে বাধা দেয়নি।
এর আগে বিকেল থেকেই ধানমন্ডি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। তারা দফায় দফায় মিছিল করেন। কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গেও।
এইউএ/এসএইচএস/আরআইপি