ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নির্বাচনের ট্রেন বিএনপির স্টেশনে থামবে না : কাদের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:১৬ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নির্বাচনও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ট্রেন বিএনপির স্টেশনে থামবে না। এবার যদি মিস করেন, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ফিনিস হয়ে যাবে।

৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও দশম সংসদ নির্বাচনের চার বছর পূর্তিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আজ শুক্রবার ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনকি সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ দশম সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে। দেশব্যাপী সভা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে ক্ষমতাসীন দল। রাজধানীতে বিএনপি এদিন জনসভার অনুমতি না পেলেও আওয়ামী লীগ সমাবেশ করেছে দুটি এলাকায়। আর এই দুটিতেই বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বিএনপির জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস। আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিরল প্রজাতির প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। না হলে এর পরিণাম, মুসলীম লীগের পরিণাম হবে।

পদ্মাসেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া বলেছেন, পদ্মাসেতু না-কি জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে। সেতু তৈরি করতে কি জোড়া লাগে না? তিনি না-কি পদ্মা সেতুতে ওঠবেন না? যেতুতে সবাই ওঠবেন, তিনি যদি না ওঠেন ফেরিতে যেতে পারেন। ওনাকে আমরা ফেরিতে পাঠিয়ে দেব।

তিনি বলেন, আসলে মামলার হাজিরা দিতে দিতে বেগম জিয়ার মাথাটা বোধহয় নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি নিজেকে একধিকবারের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন। তিনি (খালেদা জিয়া) বলেন, সাবমেরিন ডুবে গেছে। তিনি কি সাবমেরিন ভাসমান দেখতে চেয়েছিলেন?

বর্তমান সংসদকে অবৈধ দাবি করায় খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে কাদের বলেন, আমি সবিনয়ে বেগম জিয়া ও ড. কামাল হোসেনকে বলতে চাই, আইপিইউ যে পার্লামেন্টকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাহলে কি গণতন্ত্রের সঙ্কট আছে? আপনারা যদি নির্বাচনে অংশ না নেন তাহলে সেটা কি গণতন্ত্রের দোষ?

বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির নেতারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েও মাঠে না নামায় কটাক্ষ করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। তিনি বলেন, আসলে বিএনপির নেতারা ঘরে বসে হিন্দি ছবি দেখে আর পুলিশের প্রতিনিধি নরম না গরম সে খবর নেয়। এ খবর নিয়েই নেতারা ঘরে বসে থাকে।

তিনি বলেন, কোথায় তোমাদের (বিএনপি) আন্দোলন? দেখতে দেখতে নয় বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না, আর বিএনপির আন্দোলনের ভাঙা হাট আর জমবে না।

বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, যে দলের সিনিয়র নেতা আইনমন্ত্রী ছিলেন তার মতো লোক একটি বাড়ি রক্ষার জন্য আদালতে ভুয়া তথ্য দেয়, সে দল দেশের সেবা করবে কীভাবে?

দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় ওবায়দুল কাদের নিজেই বেশ কিছু সময় ধরে নৌকা, নৌকা, বলে স্লোগান দিয়ে জনসভা শেষ করেন।

এফএইচএস/এমবিআর/এসএম

আরও পড়ুন