খালেদার হাজিরার পর বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বকশীবাজারে অবস্থিত আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দলের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগ করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, যখনই তারা এ ধরনের নৃশংস আক্রমণ করবে অবিচার করবে, অনাচার করবে তখন দেখবেন এটাকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, এর আগেও জনগণের ন্যায় সংগত আন্দোলনে তারা এ ধরনের অপবাদ দিয়েছিল। অপবাদগুলো এখনও দিচ্ছে। এটা সরকারের এজেন্সিগুলো করে। যখন দেখে যে তাদের আক্রমণ তাদের অনাচার মানুষের কাছে একটা ভিন্ন রূপে ফুটে উঠছে তখনই তা ঢাকা দেয়ার জন্য তারা এগুলো করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শাসক দল আওয়ামী লীগ এখন সন্ত্রাসের ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়েছে। নানামুখী সন্ত্রাসের অভিনব কায়দা অবিচার করে ভোটারবিহীন সরকার তা জনগণের ওপর প্রয়োগ করছে। ভিন্ন কায়দায় সরকারের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে উৎখাত করতে সিরিজ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন তাদের প্রতিহিংসার মাত্রা তীব্র রূপ ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি, হিংসা ও ক্ষমতা দখলের প্রতিষ্ঠান। তাই এই অনাচারমূলক প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে এরা বিরোধীতা, সমালোচনা বিরোধী দল ও বিরোধী মত সহ্য করার শক্তি হারিয়ে ফেলে দিক-বেদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আওয়ামী চেতনায় রঞ্জিত আইন শৃংখলা বাহিনীকে দিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে সমূল ধংস করতে বেসামাল হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শরাফত আলী শফু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এমআরএম/এমএস