বিএনপি কেন আ.লীগের পতন ঘটাতে পারছে না?
‘শুধু যুবদলের আন্দোলনের কারণে এরশাদের পতন ঘটেছিল। এখন বিএনপি এত শক্তিশালী দল হওয়া সত্ত্বেও কেন আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে পারছে না, আমার বুঝে আসে না।’ বিএনপির শক্তি নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ যবুদলের সভাপতি রফিকুল আলম মঞ্জুর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি গভীর খাদে পড়ে গেছে আলীগের এক নেতার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আব্বাস বলেন, গভীর খাদে বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ পড়েছে। কারণ তারাইতো স্বীকৃতি দিচ্ছেন বিএনপির এখনো বহু নেতাকর্মী আছে। যার এত নেতাকর্মী থাকে তাদের অবস্থানটা কোথায় আওয়ামী লীগকে বুঝে নেয়ার অনুরোধ করছি।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আজ রোহিঙ্গারা যেমন নেতৃত্ব শূন্য তেমনি আওয়ামী লীগও একদিন নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাবে। একসময় যুবললীগ যখন ঘরে ঘরে ডাকাতের জন্ম দিল তখন তাদের অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য যুবদল প্রতিষ্ঠিত হয়।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাংবাদিকরা এখন থেকেই প্রশ্ন করছেন বিএনপি আসলে নির্বাচনে যাবে কি না। আমি বলবো এ প্রশ্ন অহেতুক। কারণ বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, যদি আগামী নির্বাচনে ভোট দেয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তাহলে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করা আর ট্রাকের নিচে মাথা দেয়া একই কথা। আমাদের নেত্রীকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করবেন ভালো কথা। তবে নির্দলীয়র অধীনে নির্বাচন দিয়ে নিজদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিডিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে গতকাল যে রায় দেয়া হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এ রায় নিয়ে জনগণের মাঝে সন্দেহের দানা বেঁধেছে। কারণ আমরা দেখেছি নাছির উদ্দিন পিন্টুরা আদালতে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে আর প্রকৃত অপরাধীরা এখনো বুক ফুলিয়ে হাঁটছেন।
মহানগর দক্ষিণ যবুদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
এমএম/জেডএ/এমএস