লুটেরা সরকার সবখানেই ব্যর্থ : বি চৌধুরী
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘ভোটারবিহীন এ সরকার ক্ষমতায় এসে যেসব ওয়াদা দিয়েছিল তার একটিও পূরণ করতে পারেনি। প্রশ্ন ফাঁস, দুর্নীতি, মাদক, গুম-খুন, পররাষ্ট্রনীতিসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতেও সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জনদলের (বি জে ডি) প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যে সরকার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পারে না তারা দুর্নীতি ঠেকাবে কীভাবে? প্রশ্ন ফাঁসের ফলাফল ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হবে। জাতিগতভাবে দুর্নীতি প্রবণতা তৈরি করবে।
গুম-খুন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য দেশে গুম হয়, খুন হয় মানছি। কিন্তু পার্থক্য হলো, সেসব দেশে খুনি ধরা পড়ে, গুম হলেও উদ্ধার হয়, ফিরে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে খুন হলে খুনি থাকে অধরা, বিচার হয় না। আর গুম হলে তো কথাই নেই। ফেরে না অথবা লাশ পাওয়া যায়। কেউ ফিরলেও আর কথা বলে না।
রেহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আপনারা নাকি চুক্তি করেছেন, কী চুক্তি করেছেন জনগণকে জানান না কেন? এখন শুনতে পাচ্ছি রোহিঙ্গারা নাকি যাবেই না, গেলেও মিয়ানমারে নয়, সেইফ জোনের ক্যাম্পে। তাহলে তাদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তা কি বন্ধ হবে? এসব ব্যাপারে সরকারের কোনো সফলতা নেই’।
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধি আমাদের স্বাধীনতার দাবির পক্ষে সমর্থন আদায়ে ৮টি দেশ ঘুরেছেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের ক’টি দেশের সমর্থন পেয়েছেন? চীনকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়াও পাশে নেই। আর যে ভারতকে নিয়ে আপনাদের দাপট তারাও সমর্থনও দিল না। এরপরও নিজেদের সফল বলেন কী করে?
বিকল্পধারা বাংলাদেশ প্রধান বলেন, ৮ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ালেন কার স্বার্থে? কী কথা দিয়েছিলেন, ভুলে গেছেন? এমন অবস্থায় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেন- সে আশা কখনও পূরণ হবে না।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বেতন বাড়ান সরকারি চাকরিজীবীদের, আর ভোগে সাধারণরা। ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন বলেছিলেন। সে চাল এখন ৭০ টাকা। আমার তো মনে হয়, ‘তুলনা করলে বলবো সোনার চেয়ে চালের দাম বেশি।’
বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান ডা. এস এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
জেইউ/এমএমজেড/আইআই