নাগরিক সমাবেশ ঘিরে তীব্র যানজট
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশের কারণে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে তারা হেঁটে যাচ্ছেন গন্তব্যে। সমাবেশকেন্দ্রিক জনসমাগম, রাস্তায় মিছিল ও নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে সোহরাওয়ার্দীর আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নাগরিক সমাবেশ হলেও প্রকারান্তরে এটি ক্ষমতাসীন দলের শোডাউনে পরিণত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টার পর থেকে মৎস্য ভবন, শাহবাগ, পল্টন, কাকরাইল, প্রেস ক্লাব গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা ও বিজয়নগর এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহন থেমে থাকতে দেখা যায়। ফলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় কোনো সমাবেশ থাকলেই যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে। আজকেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে গাড়ি চলাচল না করায় রাজধানীর কিছু এলাকার রাস্তা ফাঁকা দেখা গেছে। গুলশান থেকে উত্তরা ও মগবাজার এলাকায় রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই। কারণ অন্যান্য সড়ক থেকে এসব সড়কে গাড়ি আসছে না।
এ দিকে দীর্ঘক্ষণ বাসে থাকার পর অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছেন। গাড়ি থেকে নেমে মৎস্য ভবনের সামনে হাঁটছিলেন তৌফিক আহমেদ। তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে শাহবাগের বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু পল্টন এসে দেখে প্রেস ক্লাবের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। বাস ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিজয়নগরের রাস্তাতেও তীব্র যানজট। তাই কোনো উপায় না পেয়ে হেঁটে যাচ্ছি।
যানজটে আটকে থাকা বাসচালক কবির বলেন, আধা ঘণ্টা ধরে এক জায়গায়ই বসে আছি। আমাদের দিন শেষে গাড়ির জমা দিতে হয়। যানজটের যে অবস্থা তাতে আজ মনে হয় নিজের পকেট থেকে জমা দিতে হবে। সমাবেশ করবে কোনো সম্মেলন কেন্দ্রে করুক। এখানে সমাবেশ করলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রী-চালক সবাইকে ভোগান্তিতে পরতে হয়।
উল্লেখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতির উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সমাবেশ পরিচালনা করবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী।
এসআই/এআর/এমএ/এমএস/জেআইএম