ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

অব্যাহতি পেলেন শিবির সভাপতি-সেক্রেটারি

প্রকাশিত: ০৬:২৯ এএম, ০১ জুলাই ২০১৫

নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল জব্বার ও সেক্রেটারি আতিকুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ভবিষ্যতে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদেরকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাদের সতর্ক ক্ষমার এই আদেশ দেন।

গত ৪ মে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকা ও এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এর পর গত ১৪ জুন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি মো. আতিকুর রহমান নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। এর আগে ট্রাইব্যুনাল একই অভিযোগ থেকে জামায়াতের তিন কেন্দ্রীয় নেতা ও তাঁদের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে সতর্ক করে অব্যাহতি দিয়েছেন।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি হরতাল পালন করে জামায়াত। সে সময় রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে বিভিন্ন বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করেন জামায়াত-শিবিরের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

`হরতাল ও বিবৃতি দিয়ে আদালত অবমাননা করেছেন জামায়াত ও শিবিরের নেতারা ও আইনজীবী তাজুল ইসলাম`, এই অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে গত ১ জানুয়ারি আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়। ১২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী তাজুল, জামায়াতের তিন নেতা ও শিবিরের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং গত ৩ মার্চ জামায়াত-শিবিরের অভিযুক্ত নেতারা ট্রাইব্যুনালে তাঁদের ব্যাখা দাখিল করেন। ওই ব্যাখ্যার ওপর শুনানি শেষে গত ৪ মে আদেশে ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতাদের ও আইনজীবী তাজুলকে ক্ষমা করে দিলেও শিবির নেতাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমানার রুল জারি করেন। শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি গত ১৪ জুন তাঁদের আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

এআরএস/এমএস