‘রাজনৈতিক আচরণ’ প্রত্যাশা করছে বিএনপি
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববারের জনসভা বাস্তবায়নে সরকারের কাছ থেকে ‘রাজনৈতিক আচরণ’ প্রত্যাশা করছে বিএনপি।
শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভাস্থল পরিদর্শন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দলের এই প্রত্যাশার কথা জানান।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা করতে আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করব। তারা যেন কোনোরকমের উসকানিমূলক কার্যক্রম না করেন। আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক আচরণ আশা করব।
‘একই সঙ্গে আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা চাইব। যাতে জনগণের মতামত আমরা নিঃসংকোচে প্রকাশ করতে পারি-’ বলেন মির্জা আব্বাস।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যে ‘উসকানি’র ইঙ্গিত পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল সাহেব বলেছেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে, বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে আমি বলতে চাই, বিএনপি কখনো উৎশৃঙ্খল দল নয়, অন্তুত আওয়ামী লীগের মতো। একটা সুশৃঙ্খল দল হলো বিএনপি।’
তিনি বলেন- ‘উনি (ওবায়দুল কাদের) মনে হয় উসকানিমূলক ইঙ্গিত দিলেন। উনাদের যে মনের ভেতরে কী আছে, তা প্রকাশ করে দিলেন। উনার কথাটা ইঙ্গিতময় মনে হলো। আমরা স্পষ্ট করতে বলতে চাই, এ জনসভায় সরকারের সহযোগিতা চাইব।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন সরকার কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে ‘ব্যাপক লোকসমাগম’ ঘটবে।
সমাবেশস্থল পরিদর্শনে আরও যান দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। উদ্যানের কোথায় মঞ্চ নির্মাণ করা হবে তার একটি সম্ভাব্য নকশা নিয়ে মঞ্চ নির্মাতার সঙ্গে তারা আলাপ করেন।
মির্জা আব্বাসসহ নেতৃবৃন্দ জনসভাস্থল পরিদর্শনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে জনসভার সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে এ জনসভা হবে, যাতে প্রধান অতিখি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এমএম/জেডএ/এমএস