খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা
রোহিঙ্গাদের দেখতে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ফেনীতে হামলার মুখে পড়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। শনিবার বিকেলে ফেনীর মহিপালে এ হামলা হয়।
হামলায় একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি শফিক আহমেদ ও বৈশাখী টিভির সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম মোর্শেদসহ অন্তত ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই ও বৈশাখী টেলিভিশনের গাড়িসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেগম খালেদা জিয়া তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িসহ বহরের ৩০টির মতো গাড়ি মহিপাল বাজার অতিক্রমের পরপরই দুর্বৃত্তরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে উঠে আসে। হামলার সময় অন্যান্য গণমাধ্যমের গাড়িগুলো চলে আসায় তারা সটকে পড়ে।
হামলার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ফেনী সার্কিট হাউসে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চট্টগ্রামমুখী খালেদা জিয়ার বহরে দেড় শতাধিক গাড়ি রয়েছে। ফেনী সার্কিট হাউসে ঘণ্টাখানেক যাত্রা বিরতি করে তিনি চট্টগ্রামে রওনা হবে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতারাও সেখানে তার সঙ্গে অবস্থান করছেন।
এদিকে ফেনী সার্কিট হাউসে খালেদাকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফেনী জেলা সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম ও সম্পাদক রেহানা আখতার রানু প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রিয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গাড়িবহরে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এ পর্যন্ত আসতে হয়েছে। আমরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করবই।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাত কাটিয়ে রোববার বেলা ১১টায় সড়ক পথে কক্সবাজারে উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি নেত্রী। সেখানে সার্কিট হাউসে রাত কাটিয়ে সোমবার উখিয়ার বালুখালী, বোয়ালমারা ও জামতলী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এমএম/এএইচ/এমএস