ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

৫ বছর পর...

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০৮ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

দীর্ঘ ৫ বছর পর বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারে যাচ্ছেন তিনি।

রোববার কক্সবাজারের উখিয়াতে যাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি প্রধানের এই সফরকে ঘিরে দলের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে জোর প্রস্তুতি।

এর আগে পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের দেখতে ২০১২ সালের জুন মাসে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। একই বছরের নভেম্বরে বৌদ্ধ মন্দিরের হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে কক্সবাজারের রামুতে গিয়েছিলেন তিনি।

শনিবার সকালে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওয়ানা করে মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে আসবেন খালেদা জিয়া।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টায় গুলশানের বাসভবন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে সড়ক পথে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। ওই দিন দুপুরে ফেনী সার্কিট হাউজে যাত্রা বিরতি করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এরপর সেখান থেকে বিকেলে যাত্রা শুরু করে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে রাত্রী যাপন করবেন তিনি।

২৯ অক্টোবর সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে যাত্রা শুরু করবেন খালেদা জিয়া। বিকেলে কক্সবাজার সার্কিট হাউজে পৌঁছাবেন এবং সেখানে রাত্রীযাপন করবেন তিনি।

৩০ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এসময় তিনি কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণও বিতরণ করবেন।

এরপর আবার কক্সবাজার সার্কিট হাউজে বিশ্রাম শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন খালেদা জিয়া। সেখানে রাত্রীযাপন শেষে ৩১ অক্টোবর যথারীতি ফেনী হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

৫ বছর পর খালেদা জিয়ার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফর প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ম্যাডামের এই সফরের দুটি দিক রয়েছে। একটি হল মানবতা। মানবতার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন সব সময় সজাগ থাকেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গাদের সমবেদনা জানাতে উখিয়াতে যাবেন।’

‘আরেকটি দিক হলে, বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘ দিন পর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যাবেন। নানা কারণে তিনি অনেক দিন ধরে ঢাকার বাইরে যেতে পারেননি। দলের নেতাকর্মীরা ম্যাডামকে পেয়ে অনেক উজ্জীবিত হবে, এটা খুবই স্বাভাবিক।’

এমএম/এনএফ/এমএস

আরও পড়ুন