‘প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে’
‘প্রধান বিচারপতিকে দেশ ত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে’- এমন অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে বল প্রয়োগ করে এক মাসের ছুটি দেয়ার ঘটনায় হতবাক দেশবাসী। ছুটির দরখাস্তে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। দরখাস্তের নয়টি শব্দের বানান ভুলই এর প্রমাণ।’
রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘সন্ত্রাসী কায়দায় প্রথমে প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দি করে রাখার পর এখন নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। বর্তমান হাসিনার সরকার কতখানি বেপরোয়া ও নীতিজ্ঞানহীন স্বৈরাচার হতে পারে তার পরিমাপক যন্ত্র এখনও আবিষ্কার হয়নি। একটা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল শেখ হাসিনার সরকার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চিকিৎসার নামে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ডাক্তার পাঠান হচ্ছে, যা সরকারের নির্লজ্জ নাটক। জনগণ সরকারের এসব সাজান নাটক তিল পরিমাণও বিশ্বাস করে না।’
‘বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে সরকারের উদ্দেশ্য সাধিত হয় এবং একদলীয় শাসনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে বিলম্ব হবে না’ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে বিচার বিভাগকে আয়ত্তে নিতে পারলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী প্রতিবাদকে দমন করতে পারবে। নিজের দুর্বিনীত ইচ্ছাকে জুডিশিয়াল টেরোরিজমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে। আইনি খোলসের মধ্যে সরকারবিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। এ ঘটনায় দেশে সৃষ্টি হবে এক মহা মাৎসন্যায়।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর সরকারের পরিকল্পিত আক্রমণ সাধারণ মানুষের জীবনপ্রবাহ রুদ্ধ করে দেয়ার মতো অভিঘাত। এরা ক্ষমতার চাহিদা মেটাতে জনগণকে পরাধীনতার সুদৃঢ় বন্ধনে বন্দি করার জন্য সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সর্বগ্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাক্ষুধার গ্রাসে অসহায় মানুষের প্রতিবাদ অতলে তলিয়ে যাবে।
‘মানুষের নিরাপদে বেঁচে থাকার তাগিদে এই মুহূর্তে দল-মত-বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবাইকে ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’ বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহীন, কাজী আবুল বাসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এমএআর/জেআইএম