তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল চায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ১১টি দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এসব দাবি জানায় দলটি। মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন। দলটির মহাসচিব মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে আজ বিকেল ৩টায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।
মতবিনিময় শেষে দলটির মহাসচিব সাংবাদিকদের জানান, দলীয় সরকারের অধীনে অতীতের নির্বাচনে কারচুপি ও পেশীশক্তির ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি।
দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী কোটা নিয়ে নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, একটি দলে কতজন নারী সদস্য থাকবেন তা দলগুলো নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে ঠিক করবে।
দলটির অন্য দাবিগুলো হলো, নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অবাধ সভা-সমাবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিবেশ তৈরিতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নেয়া। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে অবৈধ ভোটার থাকলে তা বাদ দেয়া। অবৈধ ও কালো টাকার মালিকরা নির্বাচনে যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা এবং এক বছর আগে সকল সংস্থা ও কর্মীদের নাম পরিচয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা। স্বতন্ত্র প্রর্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য ভোটারদের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর নমিনেশন পেপারের সাথে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা, প্রবাসীদের ভোটারধিকার নিশ্চিত করা, মানোনয়নপত্র জমা দেয়া ও নির্বাচনের তারিখের মধ্যে অন্তত ৪০ দিন সময় রাখা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে ইসি। গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে ইসি। আর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
এইচএস/এআরএস/পিআর