চালের দাম নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্য চাপাবাজিতে পরিণত হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চালের দাম নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্য ডাহা চাপাবাজিতে পরিণত হয়েছে। যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।
রিজভী বলেন, চালের দাম কমার কথা বলা হলেও দাম কমেনি। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী রাজধানীর পাইকারি চালের বাজার বাবুবাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মন্ত্রীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পরও চালের দাম কমেনি। চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে গত দু’দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য বাগাড়ম্বর ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এর প্রভাব বাজারে এখনও পড়েনি। গতকালও মোটা চাল ৫৫ টাকা ও চিকন চাল ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তিনি ববলেন, গত দু’দিন আগে মন্ত্রীদের সঙ্গে চাল ব্যবসায়ীদের বৈঠকের সময় ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন-কোথায় এক কোটি টন চাল আছে দেখান। সে সময় মন্ত্রীরা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এই ভোটারবিহীন সরকারের দম্ভ আর ধমক ছাড়া জনগণকে দেয়ার আর কিছুই নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খোলাবাজারে কিনতে আসা নিম্নবিত্তদেরকে ওএমএসের মোটা সিদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল দেয়া হচ্ছে। আতপ চালের বিক্রি বাড়াতে ডিলাররা আটা ক্রেতাদের জোরপূর্বক আতপ চাল নিতে বাধ্য করছেন। ক্রেতারা আটা চাইলে সঙ্গে আতপ চালও দেয়া হচ্ছে। আতপ চাল না কিনলে আটা মিলছে না। যা অত্যন্ত অমানবিক ও গরীব মানুষদের সঙ্গে জোর জবরদস্তির শামিল।
"অন্যদিকে খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। সেখানে চালের দাম ১৫ টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে একলাফে ৩০ টাকা করা হয়েছে, তাও আবার সেটি আতপ চাল, যা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ভাত হিসেবে খেতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অমানবিক। দুর্ভিক্ষের ছায়া এখন সারাদেশের ওপর বিস্তারলাভ করেছে। ধন-ধান্যে ভরা বাংলাদেশ এখন ভরে উঠতে যাচ্ছে ‘ভাতের ফ্যান দাও’ চিৎকারে।"
তিনি বলেন, লুটপাট আর দখলবাজীর নীতি নিয়ে চলতে শুরু করায় এই সরকারের দুঃশাসনে দেশের সর্বত্র দুর্দশা ও অসাম্যের করুণ কাহিনী ছাড়া আর কোনো উন্নয়ন বাংলাদেশের জনগণ চোখে দেখেনি।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছে। এই দশ টাকা কেজি’র চাল শুধুমাত্র কেতাবেই আছে, বাস্তবে নেই।
এমএম/এআরএস/পিআর