ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপির আন্তরিকতা নিয়ে কাদেরের প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় ঐকমত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিএনপির আন্তরিকতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের আসন্ন চীন সফর নিয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করতে বিএনপির আন্তরিকতা আছে এমন প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না। এ সমস্যাকে জাতীয় স্বার্থের দিক থেকে বিবেচনা করে সমাধানে তারা কতটা আন্তরিক সেটা আগে দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভক্তি সৃষ্টি করছে বিএনপি। তারা ২০ দিন পরে ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার গেল। মিডিয়াকে নিয়ে তারা ওই (কক্সবাজার) দিকে যাবেন, কিন্তু কোনো নিয়ম মানবেন না। তারা তো প্রশাসনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। এত বিক্ষুব্ধ জনসমুদ্রের মধ্যে তারা ২০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে যাবে। এতে সেই ত্রাণের না কোনো সিকিউরিটি থাকবে, না তাদের কোনো সিকিউরিটি থাকবে। সারা দুনিয়ায় শেখ হাসিনার প্রশংসা দেখে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। সারা দুনিয়া বলে এক কথা, আর বিএনপি বলে আরেক কথা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। নিয়ম মেনে বিএনপির ত্রাণ নিয়ে গেলে বাধা দেয়া হবে না।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনকে বাংলাদেশ এখনও পাশে পায়নি, চীন সফরে কি রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়ে আলোচনা জাতিসংঘে হচ্ছে, সে আলোচনা তো এখানে অবশ্যই আসবে। আর চীন বিষয়টি অস্বীকারও করেনি। যার প্রমাণ জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বসম্মতভাবে দেয়া বিবৃতি।

রাশিয়া এ ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমর্থন করছে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার বিবৃতি নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। রাশিয়া ইন্টারফেয়ারের কথা বলেছে। আমি আমার দেশে কারও ইন্টারফেয়ার চাইব?

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকেও প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকেছেন। তিনি সবাইকে নিয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনে বসে কয়েকটি দেশের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। লন্ডনে বসে কথা বলছেন কিন্তু তিনি দেশে আসার তারিখ বারবার পরিবর্তন করছেন। আগে জানতান তিনি ঈদের পরই আসবেন কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে এ মাসেও আসবেন না। রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতীয় সমস্যা বিবেচনা করেন কিন্তু দেশে থেকে তার সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখবেন না। তিনি বিদেশে বসে কথা বলছেন, যা কোনো দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের নেতার কাজ হতে পারে না।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শাম্মী আহমেদ, আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল, দেলোয়ার হোসেন, শ ম রেজাউল করিম, শামসুন্নাহার চাঁপা, বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার, নজিবুল্লাহ হিরু, রিয়াজুল কবির কাওছার, উপাধ্যক্ষ রেমণ্ড আরেং প্রমুখ।

এইউএ/এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন