ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু খারাপ দিক আছে : রওশন এরশাদ

প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ০৯ জুন ২০১৫

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো দিক আছে, কিছু খারাপ দিক আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ হতাশ। সার্বিক বিবেচনায় এ বাজেট জনকল্যাণে কাজ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, বাজেট জনগণের জন্য, সেই বাজেট যদি জনকল্যাণে কাজ না করে তাহলে বিরোধী দল হিসেবে সংসদে আমরা এর সমালোচনা করবো।

তিনি বলেন, চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী সরকার বাজেট দিয়ে বাজেট পাস করিয়ে নেবে। কিন্তু সেই বাজেট কতোটুকু জনকল্যাণে কাজ করবে তাও আমাদের ভাবতে হবে। মোবাইল কলের ওপর অতিরিক্তি চার্জ আরোপের সমালোচনা করে রওশন এরশাদ বলেন, যোগাযোগের জন্য মোবাইলে কথা বলতে হয়। এখন থেকে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ২০ টাকা ‘কর’ দিতে হচ্ছে। এই ‘কর’ না বাড়ালে কী হতো?

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাত শতাংশ। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে না পারলে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয় বলে জানান রওশন এরশাদ। আমাদের অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন, স্বপ্ন দেখাতে ভালোবাসেন। তাই সীমিত আয়ের মধ্যেও এতো বড় আকারের বাজেট দিতে পেরেছেন।
 
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর কথা তুলে ধরে রওশন বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো দেয়া হলো। এতে তাদের বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। এতে ভুক্তভোগী হবেন সাধারণ মানুষ। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে এর কোনো দিক নির্দেশনা নেই। শুধুমাত্র কতোগুলো কাগজের নোট ছাপালেই তো হবে না?

তিনি বলেন, প্রত্যেক সরকারই জনগণের কল্যাণ চায়, জনগণের জন্য কাজ করে।  কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্বাধীনতার পরে পোশাকশিল্প ছাড়া নতুন কোনো শিল্প-কারখানা সৃষ্টি হয়নি।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, দেশের কর্মসংস্থান না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। মানবপাচারের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন শিল্প-কারখানা সৃষ্টি না হওয়ায় হয়নি কর্মসংস্থানের সুযোগ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারলে বাজেট বাস্তবায়ন কখনোই সম্ভব নয়।

দেশের পরিস্থিতি বেসরকারি বিনিয়োগ-বান্ধব নয় বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় নেতা। তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগও কমে গেছে। এর জন্য প্রতি বছর রাজনৈতিক অস্থিরতাকেই দায়ী করছেন রওশন। তাই সরকারের উচিত নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

গত অর্থবছরের অনেক প্রকল্পই বাস্তবায়ন হয়নি বলে সমালোচনা করে তিনি বলেন, এবারো হয়তো তাই হবে। এসময় তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে চার-লেন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১০ সালে এসব হাইওয়েতে চার-লেন, ছয়-লেন করার কথা ছিলো, তা এখনো হয়নি। এভাবে কাজ চলতে থাকলে কীভাবে উন্নয়ন হবে?

ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার সুপারিশ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বেসরকারি বিনিয়োগকারী আছেন যারা শুধুমাত্র ব্যাংক সুদের কারণে বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। ব্যাংক সুদের হার ৮/৯ শতাংশে আনার প্রস্তাব করেন তিনি।

বিরোধীদলীয় নেতার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, হুইপ নূরুল ইসলাম ওমর এমপি, হুইপ মো. সেলিম উদ্দিন এমপি, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি, মো. আলতাফ আলী এমপি, মামুনুর রশিদ এমপি, শাহনারা বেগম এমপি, বেগম খোরশেদ আরা হক এমপি প্রমুখ।

এইচএস/বিএ/আরআইপি/এসআরজে