আ.লীগ নিজেই জানে না তারা কী বলছে : ফখরুল
‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই জানে না, তারা কী বলছে’-এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর বিএনপি যে স্বপ্ন দেখেছিল সেটি উল্টে গেছে’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে একথা বলেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহ বুলুর মুক্তিতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা যে কথাগুলো বলছেন, আমার মনে হয় তারা নিজেরাই জানেন না কী বলছেন। এ রায়ের ফলে তাদের যে আসল চেহারা পরিষ্কার বেরিয়ে গেছে। জনগণ সেটা বুঝতে পেরেছে। এই কারণেই তারা এই সমস্ত অমূলক কথা বলছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ যে ধরনের কথাবার্তা বলছে এবং তারা যে কার্যক্রম করছে আমি মনে করি তারা আইনের শাসনবিরোধী এবং আদালত অবমাননার শামিল। তাদের প্রত্যেকটি নেতা প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলছেন। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাষায় তারা কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘এদের (আওয়ামী লীগের) উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নষ্ট করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। যেটা এদেশের মানুষ কখনই মেনে নেবে না। আমি মনে করি এ রায়ের প্রেক্ষিতে এই সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে বলে দিয়েছেন, এই সংলাপে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। কারণ তারা বলেছেন যে তাদের দায়িত্ব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ হচ্ছে। এখানে মুল যে সমস্যা রয়েছে, সে সংকট নিরসনে এটা এই সংলাপ কোনো কাজ করবে না। অর্থাৎ সহায়ক সরকার এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ পরিবেশের বিষয়টি কোনো সমাধান দিতে পারবে না।’
বিএনপির নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা একের পর এক দেখা করছে বিষয়টি বিএনপি কিভাবে দেখছে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এমন ঘটনা জীবনেও শুনিনি যে সরকারে যারা থাকে তারা কোনো রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করেন। এটার কোনো দৃষ্টান্ত নেই। বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করতে তারা চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এটা কলঙ্ক।’
এমএম/এসআর/এমএস